সংসদ উপনেতা ও ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা-কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন) আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও কুলখানি রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের এল ডি হল চত্বরে এর আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংসদ উপনেতার পিএস (ব্যক্তিগত কর্মকর্তা) বেনজির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বেনজির আহমেদ জানান, রোববার বাদ আসর ঢাকার জাতীয় সংসদ ভবনের এল ডি হল চত্বরে এ কুলখানির আয়োজন করা হয়েছে।
কুলখানিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সমাজের বিশিষ্টজন, নানা শ্রেণি-পেশার মানুষসহ স্বজনরা অংশ নিবেন। এসময় মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী গত রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সাজেদা চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৫ সালের ৮ মে। তার বাবার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। শিক্ষাজীবনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন সাজেদা। তিনি ১৯৫৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৬ সালে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা, সালথা ও সদরপুরের কৃষ্ণপুর) থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। দশম সাধারণ নির্বাচনেও তিনি এ অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হন।