বাংলা দ্বিতীয় পত্রের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আসন গ্রহণ করতে শুরু করেছেন পার্শ্ববর্তী বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি হঠাৎ উত্তপ্ত হওয়ায় কেন্দ্রটি শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে জরুরি নির্দেশনা দিয়ে ঘুমধুম থেকে উখিয়া স্থানান্তর করে বান্দরবান জেলা প্রশাসন।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকেই মিনিবাস ও সিএনজিযোগে ১৫ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে থাকা স্থানান্তরিত কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আসতে থাকেন।
ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাইরুল বশর জানিয়েছেন, ১০টি কক্ষে বেলা ১১টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে তা চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
তিনি জানান, ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়, বালুখালী কাশেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট ৪৯৯ জন পরিক্ষার্থী অংশ নেয়।
এদিকে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে বাসের ব্যবস্থা করেছে ছাত্রলীগ।
উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, ৪টি বাস সকাল থেকে কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের জন্য চলাচল করছে।
তিনি বলেন, “কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের নির্দেশনায় আমরা ঘুমধুমের শিক্ষার্থীদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করেছি, তারা যেন নির্বিঘ্নে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। পরীক্ষা শেষেও তাদের বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়া উখিয়া থানা-পুলিশের পক্ষ থেকেও শিক্ষার্থীদের জন্য ২টি বাস দেওয়া হয়েছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, “বরাদ্দকৃত বাস যতক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজন হবে, ততক্ষণ স্ট্যান্ডবাই থাকবে।”
পরীক্ষা দিতে আসা ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমেনা আক্তার বলেন, “পরীক্ষা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম, আমাদের এলাকার অবস্থা ভালো না। সকালেও কেন্দ্রে আসার সময় গুলির শব্দ শুনেছি।”
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তুমব্রু সীমান্তের কোনাপাড়ার জিরো পয়েন্টের অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবিরে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপিত মর্টার শেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ছয় রোহিঙ্গা হতাহত হয়।
এ ঘটনায় হতাহত হয়ে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে আনা ৬ রোহিঙ্গার মধ্যে ইকবাল (১৭) নামের এক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে।
সাদিয়া (১০) নামের গুরুতর আহত একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি চারজন চিকিৎসাধীন বলে এমএসএফ হাসপাতালের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।