রাঙামাটি-আসামবস্তি কাপ্তাই সড়কে চাঁদা না দেওয়ায় সিএনজিতে অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে রাঙামাটি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে পৌরসভা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনরুপার সিএনজি স্টেশনে এসে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে রাঙামাটি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পরেশ মজুমদার বলেন, “আমরা আর কত ক্ষতিগ্রস্ত হব। এর আগেও সন্ত্রাসীরা আমাদের বহু ভাইয়ের হামলা ও হত্যা করেছে। কিন্তু আমরা তার কোনো বিচার পাইনি। আজ আমরা বিচারহীনতার কারণে সন্ত্রাসীদের ভয় নিয়ে পাহাড়ে গাড়ি চালাচ্ছি। আমরা আজ যে দাবিতে রাস্তায় নেমেছি তার বিচার চাই, না হলে সকল প্রকার পরিবহন বন্ধ করে রেখে রাঙামাটি অচল করে দিব।”
নেতারা সমাবেশ থেকে তিন দফা দাবি জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।
এ সময় রাঙামাটি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু ৩ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
দাবিগুলো হলো, সব অটোরিকশা শ্রমিকদের নিরাপত্তা দিতে হবে, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারপূর্বক শাস্তি দিতে হবে ও গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এই ৩ দফা দাবি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পূরণ না হলে রাঙামাটির সকল পরিবহন বন্ধ করে দিয়ে অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন এই শ্রমিক নেতা।
রাঙামাটি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পরেশ মজুমদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু, অটোরিকশা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন পিয়ারু, শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আবুল কালাম, যুগ্ম-সম্পাদক মো বেলাল, অর্থ সম্পাদক অজিত দাশ, দপ্তর সম্পাদক ইউনুস।
শ্রমিকদের বিক্ষোভ সমাবেশের কারণে আধা ঘণ্টাব্যাপী শহরের মূল সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়।