বৈরী আবহাওয়ায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাচ্ছেন না জেলেরা

বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২, ০৬:০৭ পিএম

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কাটিয়ে সাগরে মাছ শিকার শেষে উপকূলে ফিরছে একের পর এক মাছ ধরার ট্রলার। কিন্তু মেলেনি কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। সব মিলিয়ে চলমান বৈরী আবহাওয়ায় নাকাল জেলেরা।

জানা যায়, তেলের দাম বৃদ্ধি থাকায় যে মাছ পাওয়া যায় তা বিক্রি করে জেলেদের খরচ উঠবে না। আর মৎস্য বিভাগ বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মাছের সংখ্যা কম। তবে সামনে মাছ বাড়বে।

তিন সপ্তাহ সাগরে যেতে পারেনি জেলেরা। এরপর গেলেও বৈরী আবহাওয়া দেখে ফিরে আসতে হচ্ছে তাদের।

গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে ফিরে আসা জেলেরা বলেন, “এখন আর আগের মতো সাগরে জাল ফেলেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মিলছে না। তার ওপর প্রতিনিয়ত বৈরী আবহাওয়া তো আছেই।”

বরগুনা সদরের জেলে আনোয়ার হোসেন বলেন, “জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে খরচ বেড়ে গেছে। আর এর আগে যে পরিমাণ মাছ পেতাম এখন আর সেই মাছ পাওয়া যাচ্ছে না।”

পাথরঘাটার জেলে মো. হাবিব বলেন, “বর্তমানে যে খরচ হচ্ছে মাছ বিক্রি করেও তা তোলা সম্ভব হচ্ছে না। তার ওপর বৈরী আবহাওয়া ও বন বিভাগের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ উপকূলের জেলেরা।”

নাম না প্রকাশের শর্তে পাথরঘাটার পদ্মা এলাকার বেশ কয়েকজন জেলে অভিযোগ করে বলেন, “বৈরী আবহাওয়ায় সুন্দরবনে আশ্রয় নিতে গেলে বন বিভাগ ও এর স্মার্ট বাহিনীর কাছে চাঁদাবাজির শিকার হতে হয়। এ বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুত এটি বন্ধ করার দাবি করছি।”

তালতলীর জেলে নজরুল ইসলাম বলেন, “গভীর সমুদ্রে মাছের সংখ্যা খুবই কম। তার ওপর সাগরে লঘুচাপ লেগেই আছে। এতে সাগরে জাল ফেলতে পারি না। তার আগেই উপকূলে উঠে আসতে হয়। এই আসা-যাওয়ায় আমরা ক্ষতিতে আছি।”

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, “গভীর সমুদ্রে মাছ আছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নদ-নদীতে মাছের সংখ্যা কমছে। চাঁদাবাজির ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”