বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হওয়ায় ২ থেকে ৩ ফুট পানির উচ্চতায় তলিয়ে গেছে পটুয়াখালীর উপকূলের নিম্নাঞ্চল। টানা চার দিনের ভারী বৃষ্টি ও পূর্ণিমার অস্বাভাবিক জোয়ারে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে তলিয়ে গেছে অন্তত ২৫ গ্রাম। এসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া, চরমোন্তাজ, কাউখালী এবং কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া, চম্পাপুরসহ অর্ধশতাধিক গ্রাম।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হুমকির মুখে রয়েছে উপকূলের মাছের ঘেরসহ নানা ফসলের ক্ষেত। অন্যদিকে জোয়ারের পানিতে স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় চরম বিপাকে পড়েছে এসব এলাকার মানুষ।
এদিকে পায়রাসহ সব সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর ও নদীগুলোতে ১ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আলীপুর আড়তদার ও ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আনসার মোল্লা জানান, এরই মধ্যে শত শত ট্রলার সাগর থেকে এসে মহিপুর ও আলিপুর মৎস্য বন্দরে নোঙর করেছে। আজও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে।