বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার পৌর শহরের হেমুতখালি নামক জায়গায় সড়ক ঘেঁষে মাছ, মুরগির নাড়িভুঁড়ি, নষ্ট সবজি, বিভিন্ন ধরনের পচা ফলমূল ও হোটেলের যাবতীয় বর্জ্যসহ সব ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এ থেকে চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে সড়কের পাশ দিয়ে পথচারী ও স্থানীয়রা নাক-মুখ চেপে নিঃশ্বাস বন্ধ করে চলাচল করছেন। সড়ক ঘেঁষে রাখা এসব আবর্জনার দুর্গন্ধে একদিকে যেমন পথচারীরা অতিষ্ঠ ও অন্যদিকে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, আক্কেলপুরের জাফরপুর, তিলকপুর, উপজেলার ছাতিয়ানগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য যানবাহন ও পথচারীরা এ সড়ক দিয়ে সান্তাহার পৌর শহরে চলাচল করছে। পৌর শহরের প্রবেশ পথে এ রকম চিত্র দেখে বিরক্ত সবাই। মাস্ক পরা পথচারীরাও ময়লা-আবর্জনার গন্ধে নাক চেপে ওই স্থান অতিক্রম করছেন। কেউ কেউ আবার নিজের পরনের কাপড়ের একাংশ নাকে চেপে ধরছেন। আবর্জনা অন্য স্থানে সরিয়ে নিতে স্থানীয়রা দাবি জানালেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পৌর কর্তৃপক্ষ।
পথচারী আমিনুল ইসলাম সুমন বলেন, “প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত এসব ময়লা-আবর্জনার গন্ধ বাতাসে ভেসে আসে। যত্রতত্র ময়লা ফেলার কারণে কুকুর ও শেয়াল এসব আবর্জনা টেনে আনছে সড়কের ওপর। ফলে সেখানে চলাচল অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।”
এমন অভিযোগ ছাতিয়ানগ্রামের হাসিবুল ইসলাম শাকিল, বাগবাড়ির নজরুল ইসলাম, সান্তাহারের মামুন, শ্যামপুরের কাপড় ব্যবসায়ী ইসমাইল হোনেরও। তারা জানান, জনস্বার্থে স্থায়ীভাবে এখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা উচিৎ।
সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু বলেন, “ড্যাম্পিংয়ের জায়গা না থাকায় সেখানে ময়লা ফেলা হয়। কিছুদিন আগে সেখানে এক্সকেভেটর মেশিনের মাধ্যমে ময়লাগুলো পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছিল। তবে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা ফেলতে নিষেধ রয়েছে। অল্প দিনের মধ্যে অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”