পরিত্যক্ত কূপ পুনঃখনন

দৈনিক মিলবে ৫-৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

সিলেট প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২, ০৫:০৩ পিএম

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার জলঢুপ কমলাবাড়ি এলাকায় অবস্থিত একটি পরিত্যক্ত গ্যাসকূপ পুনঃখননের মাধ্যমে নতুন করে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। এটি হচ্ছে গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ।

একাধিকবার গ্যাস উত্তোলিত হয়ে বন্ধ থাকার পর নতুন করে উত্তোলনের জন্য পুনঃখনন কাজ শুরু করেছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এই কূপ থেকে প্রতিদিন ৫-৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী ও সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান। 
একই সঙ্গে এদিন গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপও গ্যাস উত্তোলনের জন্য পুনঃখনন কাজ শুরু করা হয়।

পরিত্যক্ত গ্যাস কূপগুলো পুনঃখনন কাজ উদ্বোধনকালে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং গ্যাস কূপ ওয়ার্কওভার প্রকল্পে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ থেকে প্রথম গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। এরপর টানা প্রায় ২৩ বছর গ্যাস উত্তোলন প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে চলমান থাকলেও ২০১৪ সালে এসে বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০১৬ সালে আবার উত্তোলন শুরু হলেও ওই বছরের শেষ দিকে পুনরায় সেই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পর থেকেই এই কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বাপেক্স ওই কূপে অনুসন্ধান চালায়। অনুসন্ধানে কূপটিতে গ্যাস মজুত থাকার বিষয়টি নির্ধারিত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই কূপ পুনঃখনন করে পুনরায় গ্যাস উত্তোলন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

অন্যদিকে বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ২ নম্বর কূপ থেকে প্রতিদিন ৭ থেকে সাড়ে ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হয়ে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।

পরিত্যক্ত কূপ পুনঃখনন কাজ উদ্বোধন শেষে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, “পুনঃখনন কাজ কিছুদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এরপরই উৎপাদনে যাওয়া যাবে বলে আশা করছি আমরা।”

মিজানুর রহমান আরও বলেন, “প্রতিদিন ৫-৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে খননকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটি নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।”