অন্যের সন্তান দেখিয়ে মাতৃত্বকালীন ছুটি, সেই শিক্ষিকা বরখাস্ত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২, ০৫:৩১ পিএম

কুড়িগ্রামে অন্যের সন্তানকে নিজের দাবি করে মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটানো সেই স্কুলশিক্ষিকা আলেয়া সালমার বিরুদ্ধে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮এর (৩) ধারা মোতাবেক সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

এক মাসের অনুসন্ধানের পর ৪ সেপ্টেম্বর একটি সংবাদমাধ্যম ‘প্রতিবেশীর সন্তান দেখিয়ে মাতৃত্বকালীন ছুটি’ ভোগ করার সংবাদ প্রচারিত হয়। এরপর নড়েচড়ে বসে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। একই দিন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম তৌফিকুর রহমানকে দেওয়া হয় তদন্তের দায়িত্ব।

এতে দুই দিনের টানা তদন্তে সংবাদের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। পরে সেই শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়, যা বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হচ্ছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম শিক্ষিকার বরখাস্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তাই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া এই ছুটি নেওয়ার বিষয়ে যারা ওই শিক্ষিকাকে সহযোগিতা করেছেন, তাদের বিচার আওতায় আনা হবে।”

আলেয়া সালমা শাপলা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার মনিয়ারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তার স্বামী শফি আহমেদ স্বপন বগুড়ার গাবতলী উপজেলা কাগইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়কও। অভিযুক্ত শিক্ষিকা তার নিকটতম এক প্রতিবেশীর শিশুকে নিজের নবজাতক সন্তান দাবি করে গত ১৪ মার্চ থেকে ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটাচ্ছেন। থাকছেন স্বামীর সঙ্গে বগুড়ার গাবতলী কাগইল ইউনিয়নের বাড়িতে। ওই শিশু তাদের প্রতিবেশী আনিছুর রহমান পাশা ও শারমীন দম্পতির বলে জানা গেছে।