কুমিল্লার লাকসামে পৃথক ঘটনায় ট্রেনে কাটা পড়ে দুই দিনে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ও সোমবার (৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর) এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
লাকসাম রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক সুনীল চন্দ্র সূত্রধর জানান, মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার বেলা সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেন লাকসাম জংশনে প্রবেশের সময় অজ্ঞাত ব্যক্তি (৫৩) রেল লাইন পারা হওয়ার সময় ট্রেনের ইঞ্জিনের চাকার সঙ্গে আটকে যান। পরে ট্রেন থামলে লাকসাম জংশনের রেলওয়ের স্যানিটারি কার্যালয়ের সামনে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ব্যক্তি রেলওয়ে জংশনের নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যালয়ের সামনে দিয়ে রেললাইন পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে,রোববার সন্ধ্যায় লাকসাম-ঢাকা রেললাইনের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে মো. শহীদ মিজি (৬২) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলার ধনপর্দ্দি এলাকার মৃত রমজান আলী মিজির ছেলে। রেলওয়ে থানা পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
এছাড়া রোববার রাতে ট্রেনে কাটা পড়ে লাকসামের আজগরা ইউনিয়নের কোমড্ডা এলাকায় এক যুবকের (৩০) মৃত্যু হয়। লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশ রাতেই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।