পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক ‘প্রতিহত’ করতে মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত রাঙামাটি শহরে হরতাল ডেকেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সাড়ে ১১টায় রাঙামাটি শহরের এক রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান।
কাজী মুজিবুর রহমান জানান, “বিতর্কিত ভূমি কমিশনের বৈঠক প্রতিহত করতে ও ৭ দফা দাবিতে বাস্তবায়নের দাবিতে আমরা আগামীকাল ও পরশু দুপুর ২টায় পর্যন্ত রাঙামাটি শহরে হরতাল পালন করবো। এ সময় আমাদের বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন হবে এবং হরতাল চলাচলে কোনো যানবাহন চলবে না, দোকানপাট খুলবে না।”
সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধনে ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে জনসংখ্যা অনুপাতে সকল জাতিগোষ্ঠী থেকে সমান সংখ্যক সদস্য নিশ্চিত করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি এর কার্যক্রম শুরুর পূর্বে, ভূমির বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভূমি জরিপ সম্পন্ন করতে হবে। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ভূমির ওপর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ভূমি কমিশন সংশোধনী আইন ২০১৬-এর ধারা সমূহ বাতিল করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রবর্তন করতে হবে এবং সমতলের মতো জেলা প্রশাসকগণকে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির অধিকার দিতে হবে। কমিশন কর্তৃক ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কারণে কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারি খাস জমিতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে তথাকথিত রীতি, প্রথা ও পদ্ধতির পরিবর্তে দেশে বিদ্যমান ভূমি আইন অনুসারে ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের আদেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসক কর্তৃক বন্দোবস্তকৃত অথবা কবুলিয়ত প্রাপ্ত মালিকানা থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।
উপস্থিত ছিলেন নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আলমগীর কবীর, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আনিসুজ্জামান ডালিম, রাঙামাটি জেলা সভাপতি নাদিরুদ জামান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক লাভলী আক্তার।