নারায়ণগঞ্জের এসপিসহ ১৫০ জনের নামে রিজভীর মামলা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২, ১২:০২ পিএম

পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে যুবদল কর্মী শাওনের মৃত্যুর ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের এসপি ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান কনকসহ ৪২ জনের নামোল্লেখ করে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলার আবেদন করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মোল্লার আদালতে মামলা করেন তিনি। মামলার প্রধান আসামি করা হয় এসআই মাহফুজুর রহমান কনককে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) নাজমুল হাসান, সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তারিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আমীর খসরু, পুলিশ সদস্য শাহরুল আলম, সোহাগ, আরিফ দেওয়ান, ফেরদৌস দেওয়ান, সেলিম, রিপন, যুগল, মামুন, রিয়াজ, হাফিজ, সহকারী উপপরিদর্শক ইকবাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, পুলিশ সদস্য জাকির হোসেন, নাঈম, রাকিব, আনিস, সাইদুল, এএসআই সোহরাব, পুলিশ সদস্য ইনজামামুল, রাসেল, খলিলুর রহমান, মোহসিন, মোস্তাকিম, শাহাদাৎ, ফখরুল, আরিফ দেওয়ান, দীপক সাহা, শাহীন, ফরিদ উদ্দিন, মুরাদুজ্জামান, শাহীন, কবির হোসেন, মান্নান, রুবেল, সোহাগসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০ জন।

বিএনপির আইনজীবী মাসুদ উদ্দিন তালুকদার বলেন, “নারায়ণগঞ্জসহ দেশের কয়েকটি স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে পুলিশ। এ হামলায় পুলিশের গুলিতে শাওন সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় আমরা আদালতকে জানিয়ে গুলির ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশে উপ পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান কনকসহ ৪২ জনের নামে মামলা করেছি। আদালতকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি।”

রুহুল কবির রিজভী বলেন, “আমাদের ওপর যে হামলা হলো, গুলি চালানো হলো সে ঘটনায় আমরা আদালতে মামলার আবেদন করে বিচার চেয়েছি আদালতের কাছে।”

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালত পরে আদেশ দেবেন।