সাত ট্রাক ভেজাল সার-কাণ্ডে মামলা

বগুড়া প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২, ০৫:৩০ পিএম

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে বগুড়ায় আসা সাত ট্রাক সার ভেজাল প্রমাণিত হওয়ায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন চট্টগ্রামের টিএসপি কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মাজহারুল ইসলাম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ওসি সেলিম রেজা।

মামলার আসামিরা হলেন বগুড়ায় টিএসপি সার পরিবহনের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমএইচআর করপোরেশনের মোয়াজ্জেম হোসেন এবং সাত ট্রাকের চালক ও হেলপার- ঢাকার সাভার বনিয়ারপুর এলাকার হাসেন আলীর ছেলে নুর হোসেন (২৬), আব্দুল হাইয়ের ছেলে আবুল বাশার (২৮), আনিছের ছেলে জসিম (২৬), মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে সোহেল (৩৫), শাহব উদ্দিনের ছেলে আসাদুল (২৬), মুন্নাফের ছেলে বাবু (২৫), একই এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে আব্দুল আউয়াল (৫০), সাভার নগরকোন্ডা এলাকার আজগর আলীর ছেলে তারেক (১৯), একই এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে শাকিল (৩২), কান্দর আলীর ছেলে শাকিল (৩১), মোহাম্মদ আলীর ছেলে হানিফ (৩২), রংপুর মিঠাপুর এলাকার পায়রাবতী গ্রামের আনছার আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (১৮) এবং মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর এলাকার আরশাদ শেখের ছেলে শাহ্ আলম (৪৩)।

তারা সবাই এমএইচআর এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী হিসেবেও কাজ করতেন।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে বগুড়া শহরের তিনমাথা এলাকায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) বাফার গুদাম থেকে তাদের আটক করে র‍্যাব।

এদিকে র‍্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার শুক্রবার তার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গত ২৭ আগস্ট  চট্টগ্রামের পতেঙ্গা টিএসপি কমপ্লেক্স থেকে এমএইচআর এন্টারপ্রাইজের ১২ ট্রাক টিএসপি সার নিয়ে বগুড়ার উদ্দেশে রওনা হয়। পথিমধ্যে ঢাকার সাভার এলাকায় যাত্রাবিরতিতে সাতটি ট্রাক আসল সার নামিয়ে নকল সার উত্তোলন করে। পরে ২৯ আগস্ট সকালে সাতটি ট্রাক টিএসপি সার নিয়ে বগুড়ার বাফার গুদামে পৌঁছায়।

তিনি আরও জানান, ট্রাকগুলোতে ভেজাল সার আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন পরীক্ষা ছাড়া সার খালাস বন্ধ ঘোষণা করে। এরপর ওই দিন সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ৭টি ট্রাক থেকে সারের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য তা রাজশাহীতে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম নমুনাগুলো পরীক্ষার পর জানান সারগুলো ভেজাল রয়েছে। ভেজাল রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বৃহস্পতিবার রাতে ওই সাত ট্রাকের চালক ও হেলপারদের আটক করে র‍্যাব।

বগুড়া সদর থানার ওসি সেলিম রেজা বলেন, “আটক ১৩ জনকে এখনো আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। হস্তান্তর করলে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। এছাড়া মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।”