বগুড়ায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। এদিকে সাভারে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় ২৯ জনকে আটক করে পুলিশ। বগুড়া ও সাভার প্রতিনিধির পাঠানো খবর-
বগুড়া
নন্দীগ্রাম উপজেলায় পাশাপাশি আওয়ামী লীগের শোকসভা এবং বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। এ সময় ৩-৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার মাঝগ্রাম এলাকায় এই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে স্থানীয় প্রশাসন।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা ৩টায় মুনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজ মাঠে সমাবেশ আহ্বান করে উপজেলা বিএনপি। অপরদিকে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বঙ্গবন্ধু চত্বরে একই সময়ে উপজেলা ও পৌর শ্রমিকলীগ শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে শোকসভার আয়োজন করে। দুই দলের সমাবেশকে ঘিরে বুধবার সকাল থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। দুপুরের দিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে অবস্থান নেয়। দুপুর ২টার পর ছাত্রলীগের একটি মিছিল মাঝগ্রাম দিয়ে আসার সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে বুড়ইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান আহত হন। এ খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপিরপন্থীদের ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। সংঘর্ষে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলী ও বুড়ইল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন মন্টু আহত হন। এসময় ৩-৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন সরকার বলেন, “আমাদের আহত দুই নেতার অবস্থা আশঙ্কাজনক।”
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তুহিন আহমেদ বলেন, শ্রমিকলীগের শোকসভায় আসার সময় ছাত্রলীগের এক নেতার ওপর হামলা চালিয়ে জখম করেছে বিএনপি নেতারা।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, দুই দলের কর্মসূচির কারণে সকাল থেকেই পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল। দুপুরের পর উত্তেজনা বাড়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সাভার
সাভারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিন পুলিশসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় বিএনপির ২৯ জন সর্মথকে আটক করেছে পুলিশ।
সাভার পৌর এলাকার ছায়াবিথী মহল্লায় বিএনপি ঢাকা জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমের বাড়ির সামনে বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটকদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, খোরশেদ আলমের বাড়িতে কোনো অনুমতি ছাড়াই দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে দুপুরে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি। এ সময় নিয়মিত টহল পুলিশ ঘটনা জানতে পেয়ে তার বাড়িতে উপস্থিত হয়। পরে বিএনপির সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়ে যায়। পরে তা সংঘর্ষ রূপ নেয়। এসময় বিএনপির সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ২৯ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।