‘ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি’ বন্ধসহ ৫ দফা দাবিতে সিলেটে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিক নেতারা।
সম্প্রতি সিলেটের ৬টি রেজিস্টার্ড সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভায় ৮ সেপ্টেম্বর কদমতলী টার্মিনাল এলাকায় মানববন্ধন ও ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে সিলেট জেলায় পরিবহন শ্রমিক কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
এদিকে পরিষদের উদ্যোগে ৫ দফা দাবি জানিয়ে সোমবার (২৯ আগস্ট) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে এক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। স্মারকলিপিতে পরিবহন শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে দেওয়া স্মারকলিপির অনুলিপি সিলেটের প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সকল সেক্টরে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যথায় ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে সিলেট জেলায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট পালন করা হবে বলে জানান শ্রমিক নেতারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার ও উপ-কমিশনারের (ট্রাফিক) অপসারণ, ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি ও রেকার বাণিজ্যসহ মাত্রাতিরিক্ত জরিমানা বন্ধ করতে হবে। সিলেটে শ্রম আদালতের প্রতিনিধি শ্রমিক লীগের নাম ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তারকারী নাজমুল আলম রোমেনকে প্রত্যাহার করতে হবে।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে পাথর কোয়ারি খুলে দিতে হবে, ভাঙাচোরা রাস্তাগুলো দ্রুত সংস্কার এবং নতুন সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিক্রি বন্ধ ও বিক্রয়কৃত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দিতে হবে। একই সঙ্গে বেআইনি গাড়ি, অটোবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ডাম্পিংকৃত গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সিলেট বিভাগীয় সভাপতি ও সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন (বি-১৪১৮) এর সভাপতি মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, “আমরা সিলেটের পরিবহন শ্রমিকদের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবি-দাওয়া আদায়ে ৮ সেপ্টেম্বর হুমায়ুন রশীদ চত্বরে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করব। এর মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে ১৩ সেপ্টেম্বর ভোর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিলেট জেলার সকল পরিবহন শ্রমিক কর্মবিরতি পালন করতে বাধ্য হবেন। জেলার রাস্তায় কোনো গাড়ি বের হবে না। আমরা সরকারের কাছে অনতিবিলম্বে আমাদের ৫ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ছাড়া আমাদের আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।”