সংসারের অভাব ঘুচাতে ৫ বছর আগে পাড়ি জমান সৌদি আরবে। স্বপ্ন ছিল সেখান থেকে ভালো উপার্জন করে দেশে এসে ভালোভাবে জীবনযাপন করবেন। কিন্তু স্ত্রীর বিশ্বাসঘাতকতায় সবকিছু হারিয়ে এখন অসহায় জীবনযাপন করছেন প্রবাসী পলাশ হোসেন। নিজের সহায়-সম্বল হারিয়ে পথে বসে গেছেন। কষ্টের টাকা ফিরে পেতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
পলাশ হোসেন নওদাপাড়া গ্রামের মতিয়ার রহমান মন্ডলের ছেলে ও তার স্ত্রী শাকিলা আক্তার কোটচাঁদপুর উপজেলার আজমপুর গ্রামের মুকুল মন্ডলের মেয়ে।
সোমবার (২৯ আগস্ট) সকালে পলাশ হোসেন জানান, অভাবের সংসারে একটু স্বচ্ছলতা আনতে ধার-দেনা করে তিনি বিদেশ গিয়েছিলেন। সৌদিতে কাজ করে যা আয় করেছেন সব টাকা দিয়েছেন স্ত্রীর হাতে। দেশে আসার পর তিনি ডলার ভাঙিয়ে ৪ লাখ টাকা বাড়িতে আনেন। এছাড়াও গরু বিক্রির ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নিজের কাছে রেখেছিলেন। বিদেশ থেকে আনা ৮ ভরি স্বর্ণসহ মোট ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা ও সঙ্গে থাকা দুটি মোবাইল নিয়ে পালিয়ে গেছে তার স্ত্রী। তাকে কোথাও খোঁজে না পেয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি।
পলাশ হোসেনের বাবা মতিয়ার মন্ডল জানান, ধার-দেনা করে ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন। গত শুক্রবার রাতে ছেলের বউ টাকা ও স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে গেছে। তাকে কোথাও খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন পলাশ হোসেন। তার স্ত্রীকে উদ্ধারে কাজ চলছে।