খাগড়াছড়ির রামগড়ে একই স্থানে একই সময় বিএনপি ও ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতা এড়াতে সোমবার (২৯ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে রামগড় উপজেলা প্রশাসন।
রোববার (২৮ আগস্ট) রাত সোয়া ১১টার দিকে রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রামগড় উপজেলা বিএনপি কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি পালনের জন্য ২৯ আগস্ট রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠসংলগ্ন স্মৃতিসৌধের সামনে সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। অপর দিকে একই সময়,একই তারিখ ও একই স্থানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রামগড় উপজেলা শাখা শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে শোক র্যালি ও আলোচনা সভার জন্য আবেদন করেন। কোনো দলকে অনুমতি দেওয়া না হলেও উভয় দল একই স্থানে বিনা অনুমতিতে সমাবেশ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর ফলে জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে আইন পরিপন্থী সব অবৈধ কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে উল্লিখিত স্থানে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করা হলো।
গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৪৪ ধারা রামগড় পৌরসভার মাস্টার পাড়া (সিনেমা হল) থেকে রামগড় পৌর ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এ সময় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি, সংগঠন, রাজনৈতিক দল, গণজমায়েত, সভা-সমাবেশ, মিছিল, বিক্ষোভ মিছিল, শোভাযাত্রা, চারজনের অধিক জমায়েত ও কোনো প্রকার রাজনৈতিক প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাসহ আইন মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার ১৪৪ ধারা জারি করার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির পক্ষে বহু আগে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের কর্মসূচিকে বানচাল করার জন্য একই স্থানে একই সময়ে সরকারি দলের একটি ছাত্র সংগঠন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বিএনপির পক্ষে জনস্রোত দেখে আওয়ামী লীগ এখন সন্ত্রাস ও রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করছে। এভাবে আওয়ামী লীগ নিজেদের পতন ঠেকাতে পারবে না।”
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, “সহিংসতা এড়াতে ও সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৪৪ ধারা জারিকৃত এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”