পুলিশ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ আহত ৩৫

নরসিংদী প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২২, ০৭:৩১ পিএম

নরসিংদীতে পুলিশ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে ১০ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।

রোববার (২৮ আগস্ট) দুপুরে জেলার মনোহরদীর হেতেমদি-ইটাখোলা সড়কের বাগবেড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের বিস্তারিত নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

জানা যায়, উপজেলার হেতেমদিতে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে নেতাকর্মীরা হাফিজপুরে জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের বাধা দেয় পুলিশ।

তখন তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে। পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হন। অপরদিকে নেতা-কর্মীদের ইটপাটকেলে পুলিশের ১০ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সরদার শাখাওয়াত হোসেন বকুল বলেন, “মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি নিয়ে হেতেমদি-ইটাখোলায় আমরা সমাবেশ করার জন্য বেলা সাড়ে ১১টায় হাফিজপুর এলাকায় সমবেত হতে থাকি। এ সময় প্রায় ৪/৫ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে আমি হেতেমদি-ইটাখোলায় সমাবেশ স্থলে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হলে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়।”

শাখাওয়াত হোসেন বকুল আরও বলেন, “এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে নেতা-কর্মীরা। পরে আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পুলিশ।”

তাছাড়া পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগের কর্মীরাও বিএনপির সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় বলে তিনি অভিযোগ করেন।

বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য দাবি করেন, ছাত্রলীগের হামলায় এবং পুলিশের গুলিতে তাদের প্রায় ২৫ জন গুলিবিদ্ধ। রামদায়ের কোপে ১০/১৫ জন আহত হন। দুইজনের চোখে গুলি লাগায় তাদের ঢাকার ইসলামীয়া চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ শিবপুর, মনোহরদী ও নরসিংদীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।  

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দীন জানান, বিএনপি নেতা-কর্মীদের হাফিজপুরে সভা করার কথা ছিল। কিন্তু তারা হাফিজপুর থেকে মিছিল নিয়ে হেতেমদি যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তখন বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ শর্টগানের গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।