কোম্পানীগঞ্জে স্কুলছাত্রীসহ ২ নারীর মরদেহ উদ্ধার

নোয়াখালী প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২২, ০৫:৫৫ পিএম

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পৃথক স্থান থেকে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীসহ দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৮ আগস্ট) সকাল ১০টা ও দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড ও চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।    

নিহতরা হলেন, উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যাপারী বাড়ির নেওয়াজ শরীফ উদ্দিনের স্ত্রী বিবি ফাতেমা লুনা (২২) ও বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের করালিয়া এলাকার এন্তাজ মিয়ার বাড়ি আবু নাছেরের মেয়ে লুবনা আক্তার পপি (১৯)। পপি স্থানীয় বসুরহাট আইডিয়াল একাডেমির দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে লুনা তার স্বামীর বসতঘরের নিজ কক্ষের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে সকালের দিকে পরিবারের সদস্যরা তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। ধারণা করা হচ্ছে,পারিবারিক কলহের জের ধরে সে গলায় ফাঁস দিয়েছে।  

নিহতের ভাই আলাউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, “আত্মহত্যা নয়, আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ভগ্নিপতিকে বিদেশ যাওয়ার জন্য সাড়ে ৩ লাখ টাকা না দেওয়ায় সে আমার বোনকে মেরে ফেলেছে।”

খবর পেয়ে একাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে।  

অপরদিকে নিহতের মা ফেরদৌস আরা বলেন, “আমার মেয়ে লুবনা আক্তার পপি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত। রোববার ভোর সাড়ে চারটার দিকে ফজরের আযান শুনে তার ঘুম ভাঙলে কাউকে না ডেকে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য ঘরের বাহিরে যায়। ওই সময় বসতঘরের দক্ষিণ পার্শ্বে টিউবওয়েলে তাহার মেয়ে হাত-মুখ ধৌত করার সময় একই বাড়ির পাখি (২৫) ও সুমাইয়া আক্তারের (২০) সঙ্গে কথা বলেন।”

তিনি আরও বলেন, “পরবর্তীতে আমার ছেলে আমির হোসেন ফয়সাল সোয়া ৭টার দিকে বসতঘরের মাঝের গলিতে তার বোনের নিথর দেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন।”

তাৎক্ষণিক নিহতের পরিবার ও পুলিশ মৃত্যুর কোনো কারণ জানাতে পারেনি।  

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান বলেন, “দুটি মরদেহ উদ্ধার করে থানায় এনে রাখা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যার দিকে দুটি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তনের প্রতিবেদন হাতে পেলে আইনগত প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।”