নাটোরের লালপুর উপজেলার শিশুকন্যা সোহানা আক্তার জিদনী (৩) মায়ের হাতে নুডুলস খেতে গিয়ে অসাবধানতাবশত গলায় সেফটিপিন আটকে গেলে প্রায় ৫২ ঘণ্টা ধকলের পর সেফটিপিন বাহির করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ অগাস্ট) রাত দশটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে সেপটিপিন মুক্ত করেন।
জানা যায়, গত বুধবার সন্ধ্যায় মায়ের হাতে নুডুলস খাওয়ার সময় সেপটিপিন গিলে ফেলে ওই শিশুটি। এসময় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলেও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সেফটিপিন বের করার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা তার খাদ্যনালী হতে সেপটিপিনটি অপসারণ করেন।
সোহানা আক্তার লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের বড় বাদকয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে।
সোহানার ভাই হাসান আলী জানান, সেপটিপিন বের করার পর সোহানা সুস্থ আছে।