লালমনিরহাটে প্রাইভেট কার থেকে পুলিশের জব্দ করা ফেনসিডিলের বস্তা ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে সেবন করেছেন কয়েকজন মাদকসেবী। এ সময় আটক চালক সফিকুল ইসলাম শফিককে (৩২) ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন মাদক ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া তারা উদ্ধার করা গাড়িও ভাঙচুর করে।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে কাকিনা-মহিপুর-রংপুর সড়কের এসকেজে বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুপুরে লালমনিরহাট সীমান্তে থেকে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী ফেনসিডিলের বড় চালান নিয়ে প্রাইভেট কারযোগে রংপুরে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে লালমনিরহাট গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা গাড়িটিকে ধাওয়া করেন। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
তখন ডিবি পুলিশের সদস্যরা মোটরসাইকেল নিয়ে গাড়ির সমান দূরত্বে গেলে তাদেরও ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে কাকিনা-মহিপুর, রংপুর সড়কের এস কেজের বাজারের লোকজন গাড়িটিকে আটক করার সময়েও শিশুসহ তিন পথচারী গাড়ির ধাক্কায় আহত হন।
এদিকে উত্তেজিত জনতা আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার দাবি তুলে বিক্ষোভ শুরু করেন। এই সুযোগে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা মোটরসাইকেলে করে এসে প্রাইভেট কার ও ডিবি পুলিশকে ঘিরে ফেলেন। তারা গাড়ির চালককে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে প্রাইভেট কার থেকে ফেনসিডিলের একটি বস্তা টেনে বের করে পুলিশের সামনেই সেবন করেন। পরে স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে তাদের গণধোলাই দেয়। এদিকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে লালমনিরহাট ডিবি পুলিশের সদস্যরা পার্শ্ববর্তী গঙ্গাচড়া থানা ও কালীগঞ্জ থানায় খবর দেয়।
রংপুরের গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন জানান, মাদক নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পথে লালমনিরহাট ডিবি পুলিশের হাতে প্রাইভেট কারসহ ফেনসিডিল আটক হয়। পরে কালীগঞ্জ থানা-পুলিশকে আটক আসামিসহ প্রাইভেট কারটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম গোলাম রুসূল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ডিবি পুলিশের হাতে আটকের পর স্থানীয়রা ঝামেলা করছিল। পরে খবর পেয়ে প্রাইভেট কার ও ২৮৬ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। তবে ওই সময় মাদকের বস্তা ছিনিয়ে নিয়েছে কি না, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয় হবে।