তেলের দাম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

রাজশাহী প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২২, ০৩:৩৭ পিএম

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “পৃথিবীতে এখন সংকট চলছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের মূল্য ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে বাংলাদেশেও জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। যখন স্থিতিশীলভাবে দাম কমবে, তখন বাংলাদেশেও কমবে। তেলের এই দাম বৃদ্ধি নিয়ে কারও মাঠ গরম করার সুযোগ নেই। কিন্তু বিএনপিসহ কিছু দল ও প্রতিষ্ঠান জ্বালানি তেলের মূল্য নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।”

শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকালে রাজশাহীর মোহনপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “দেশে একটি মহল সবসময় বিভ্রান্তি ছড়ায়। পদ্মা সেতু থেকে যখন বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিল তখন টিআইবি, সিপিডিসহ কয়েকটি দল লাফিয়ে লাফিয়ে অনেক বক্তব্য দিয়েছে। বিএনপিও বক্তব্য দিয়েছিল। তাদের সঙ্গে সিপিডি, টিআইবি এরাও লাফাচ্ছিল। আজকে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। আমাদের দেশে ডিজেলের মূল্য ১১৪ টাকা, কোলকাতায় সেটি ১১৬ টাকা অর্থাৎ কোলকাতার চেয়ে এখনো এখানে কম আছে। এই দাম বৃদ্ধির পরও বিপিসিকে প্রতি লিটার ডিজেলে ৮ টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।”

সমগ্র দেশ বদলে গেছে জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, “প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। এখানে একজন মানুষও ছেড়া কাপড় পরে নাই। আকাশ থেকেও কুড়ে ঘর দেখা যায় না। খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না। এগুলো কোনো যাদুর কারণে হয় নাই। এটি হয়েছে একমাত্র শেখ হাসিনার যাদুকরী নেতৃত্বে।”

তিনি বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাতৃকালীন ভাতা, স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা ও বিধবাভাতার প্রচলন করেছেন। সেজন্য মা ও বোনদের ক্ষমতায়ন হয়েছে। এটি একমাত্র শেখ হাসিনা করেছেন। খালেদা জিয়াও প্রধানমন্ত্রী ছিল কিন্তু স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা দেন নাই। সকল উন্নয়নের কারণে আজকে বাংলাদেশ বদলে গেছে। মানষে বলে চিটাগাং উন্নত এলাকা। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে রাজশাহী অঞ্চল চিটাংয়ের তুলনায় অনেক উন্নত। রাজশাহী  থেকে মোহনপুর আসার রাস্তা আগে ছিল দুই লেনের। বর্তমানে সেটি চার লেনে উন্নিত করা হচ্ছে।”

কিছুদিন পর বিএনপিকে হারিকেন দিয়েও খোঁজে পাওয়া যাবে না উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশে জামায়াত-বিএনপি সবসময় বিভ্রান্তি ছড়ায়। প্রথমে মুসলিম লীগের প্রতীক ছিল সাইকেল। পরবর্তীতে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে হারিকেন। কিন্তু হারিকেন দিয়েও বর্তমানে মুসলিম লীগকে খোঁজে পাওয়া যায় না। তেমনি বিএনপি তাদের ধানের শীষ মার্কা বাদ দিয়ে হারিকেন ধরেছে। তাই আমার মনে হয় হারিকেন দিয়ে খোঁজেও তাদের পাওয়া যাবে না।”

তিনি বলেন, “কিছু কিছু ব্যক্তি যারা নিজেকে বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচয় দেয় আমিও তাদেরকে বুদ্ধিজীবী হিসেবেই গণ্য করি। কিন্তু সময়ে সময়ে তাদের বুদ্ধি লোপ পায়, সময়ে সময়ে বিশেষ উদ্দেশে তাদের বুদ্ধি ব্যবহৃত হয়। তারা গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে কথাবার্তা বলছেন, এটি জনগণকে বিভ্রান্ত করার শামিল। আমি আশা করব তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার এই অপচেষ্টা থেকে বেরিয়ে আসবে।”

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়, বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে সন্ত্রাসী দেশ হিসেবে প্রমাণ করতে চায়। তারা আরেকটি ১৫ আগস্ট সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ একটি বৃহত্তম দল। এই দলের নেতা-কর্মীরা বেঁচে থাকতে তাদের এই আশা কোনো দিন পূরণ হবে না।”