রুয়েটের সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণিত

রাজশাহী প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২২, ০৮:৩২ পিএম

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সদ্য সাবেক উপাচার্য রফিকুল ইসলাম সেখের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এক তদন্তে এসব অনিয়ম ধরা পড়েছে। অনিয়ম করে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের বেশির ভাগই তার নিকটাত্মীয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিয়োগের এসব কার্যক্রম বাতিল হিসেবে গণ্য হবে। একই সঙ্গে রফিকুল ইসলাম সেখ ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সেলিম হোসেনের বিরুদ্ধে ‘বিধি মোতাবেক’ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

এ বিষয়টি নিয়ে বুধবার (১০ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতেও আলোচনা হয়েছে। কমিটির সভাপতি মো. আফছারুল আমীনের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, আব্দুল কুদ্দুস, ফজলে হোসেন বাদশা, আব্দুস সোবহান মিয়া, এমএ মতিন এবং মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

বৈঠকে রুয়েটের ভিসির বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতির তদন্তসহ চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা হয়। রুয়েটের দুর্নীতি নিয়ে ইউজিসি একটি প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে বলেও বৈঠকে জানানো হয়। পরে কমিটি ওই প্রতিবেদন দেখতে চেয়েছে। পরবর্তী বৈঠকে এ নিয়ে আরও আলোচনা হবে।

এ বিষয়ে কমিটির সদস্য ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, রুয়েটের উপাচার্যের দুর্নীতির তদন্ত কমিটিতে প্রমাণিত। তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত কমিটিতে জমা দিতে বলা হয়েছে।

রফিকুল ইসলামের মেয়াদ শেষ হয়েছে কয়েক দিন আগে। অভিযোগ উঠেছিল, তিনি দায়িত্বে থাকাকালে স্বজনপ্রীতি করে ভাই, শ্যালক, শ্যালিকাসহ আত্মীয়স্বজন ও পছন্দের লোকদের নিয়োগ দিয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তে নামে ইউজিসি। তদন্ত করতে গিয়ে ইউজিসির কমিটি দেখতে পায় নিয়মের কোনো ধার ধারেননি রুয়েটের তৎকালীন উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার। ইচ্ছেমতো পছন্দের লোকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

রফিকুল ইসলামের মোবাইলে ফোনে কল করলে তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

আর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সেলিম হোসেন বলেন, “তিনি বাসে আছেন, নেমে ফোন করবেন। এরপর অসংখ্যবার কল করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।”