রংপুরে ১২ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে নবম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী। থানায় জিডিসহ আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতজনদের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও সন্ধান পায়নি পরিবার। নিখোঁজের বিষয়টিকে রহস্যজনক বলে দাবি পুলিশের।
নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থী হলো আলাভী বিন আব্দুল্লাহ ও আদহাম আল-সামী। তারা দুজনই রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ৩১ জুলাই বিকেল ৫টা ২৬ মিনিটে রংপুর ধাপ শ্যামলী লেন থেকে হাতে ও পিঠে ব্যাগ নিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছে সামী ও আলাভী। এরপর আর বাসায় ফেরেনি তারা।
সামীর মা আসমা খাতুন রংপুরের হারাগাছে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে সহকারী ক্যাশিয়ার হিসেবে কর্মরত। বাবা সেকেন্দার আলীও মেহেরপুরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে স্টোর কিপারের দায়িত্ব পালন করেন।
সামীর মা আসমা খাতুন সংবাদ প্রকাশকে জানান, সামী তাদের একমাত্র সন্তান। অত্যন্ত সাদাসিধা প্রকৃতির সামী পড়া লেখার বাইরে ব্যস্ত থাকতো খেলাধুলা নিয়ে। খেলাধুলার কারণেই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে আলাভীর সঙ্গে। তবে বেশ কিছুদিন থেকেই একা থাকতে চাইতো না সামী।
এদিকে আলাভীর বাবা ডা. মাসুদ সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “ছেলেকে নিয়ে মাঝে মাঝেই ঘুরতে যেতাম। ওর পড়াশোনার খোঁজখবর রাখতাম। কিন্তু কখনো ভাবিনি এরকম কিছু ঘটবে।”
দুই পরিবারই বলছে, ব্যাগে করে জামা কাপড় ছাড়া আর কিছুই নেয়নি আলাভী ও সামী । তবে আলাভীর করা জামাকাপড়ের লিস্ট বলছে পূর্ব পরিকল্পনা করেই ঘর ছেড়েছে দুই বন্ধু।
এ ঘটনায় ১ আগস্ট মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরি করে আলাভী ও সামীর পরিবার। সামীর বাবা সেকেন্দার আলী বলেন, “১ আগস্ট জিডি করেছি, র্যাবকেও জানানো হয়েছে। শহরের প্রতিটি মোড়ে সিসিটিভি আছে, ছেলে দুটো কই গেলো, কারা নিয়ে গেলো, তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে পুলিশ এখনো তাদের কিছুই জানায়নি।”
পুলিশ বলছে, বিষয়টি নজরে আসার পর পরই তদন্ত শুরু করেছে তারা। এখনও খোঁজ মেলেনি। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি ক্রাইম আবু মারুফ হাসান সংবাদ প্রকাশকে জানান, বিষয়টি অত্যন্ত রহস্যজনক। তারা কোনো ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার না করায় সন্দেহের জাল আরও বিস্তৃত হচ্ছে। প্রশাসনের সব শাখায় বিষয়টি অবগত করা আছে।