বাস থেকে স্বামীকে ফেলে দিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫

গাজীপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২২, ০৮:৩৫ পিএম

গাজীপুরে চলন্ত বাস থেকে স্বামীকে ফেলে দিয়ে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৬ আগস্ট) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন। সেই সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসটিও জব্দ করা হয়েছে। এরআগে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী থানায় মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন মো. রাকিব মোল্লা (২৩), সুমন খান (২০), মো. সজিব (২৩), মো. সুমন হাসান (২২) এবং মো. শাহিন মিয়া (১৯)। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানাতে চাননি সানোয়ার হোসেন।

ভিকটিমের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নওগাঁ থেকে শুক্রবার রাত ৩টার দিকে গাজীপুর মহানগরের ভোগড়া বাইপাসে স্বামীর সঙ্গে নামেন এক নারী। ময়মনসিংহের স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় ভাড়া বাড়িতে যেতে অপর একটি গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। রাত ৩টা ১০ মিনিটে স্কয়ার মাস্টারবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে তাকওয়া পরিবহনে উঠে ছয়/সাতজন যাত্রীর দেখতে পান। রওনা দেওয়ার কিছু সময় পর বাসটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের হোতাপাড়ায় পৌঁছালে দুজন যাত্রী নেমে যান। রাত ৩টা ৪০ মিনিটে বাসটি মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তা ফ্লাইওভার পার হয়ে কিছু দূর সামনে গেলে অজ্ঞাতনামা দুই/তিনজন লোক হঠাৎ ওই নারীর স্বামীকে মারধর শুরু করলে তাদের হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেন ওই নারী। এসময় অজ্ঞাত লোকজন ওই নারীর মুখ চেপে ধরে রাখে এবং স্বামীকে মারধর করে এমসি বাজার এলাকায় চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়ে বাসে নারীকে নিয়ে ঢাকার দিকে চলে যায়। স্বামী বাস থেকে পড়ে আঘাত পেয়ে স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকার বোনের বাসায় চলে যান। শনিবার সকালে অপরিচিত একটি মোবাইল থেকে ফোন করে ওই নারী বিস্তারিত ঘটনা এবং জয়দেবপুর থানায় আছেন বলে স্বামীকে জানান।

ওই নারী জানান, তার স্বামীকে গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়ার পর অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন ব্যক্তি তাকে চোখ বেঁধে ও মুখ চেপে ধরে গণধর্ষণ করা হয়। এ সময় তার কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোন ও নগদ ১০ হাজার ৫০০ টাকাসহ সঙ্গে থাকা অন্যান্য মালামাল নিয়ে চলে যায় তারা।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন জানান, ওই নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে শ্রীপুর থানায় মামলা করার পর অভিযানে নামে পুলিশের একাধিক দল। জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার ও বাসটি জব্দ করা হয়।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেপ্তাররা গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে।