‘বঙ্গবন্ধুর দু-এক খুনিকে শিগগিরই দেশে আনা হবে’

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২২, ০৭:৪০ পিএম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের মধ্যে দুই-একজনকে শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অনেককেই এর মধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। যারা বাইরে আছেন তাদের মধ্যে দুয়েকজনকে শিগগিরই দেশে আনা হবে। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবাইকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিলো, কারণ তারা ভালো করেই জানতো, বঙ্গবন্ধুর রক্ত যাদের ধমনীতে প্রবাহিত, তাদের কেউ বেঁচে থাকলে খুনিদের বিচার একদিন হবে।”

শুক্রবার ( ৫ আগস্ট) বিকালে চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা এলাকায় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোকাঞ্জালি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেত জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ষড়যন্ত্রকারীরা তা হতে দেয়নি। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।”

তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় এসেই শুরু করলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের প্রক্রিয়া। অনেক বিচারক বিব্রত হলেন, অনেক কিছু হলো। সবই মনে আছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা কিন্তু হাল ছাড়েননি। সেজন্যই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারটা আমরা পেয়েছি। যারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল এর মধ্যে কয়েকজনের রায় কার্যকর করা হয়েছে।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা খুনিদের দেখি। খুনিদের নিয়ে যে প্ল্যান করেছিল, যে মাস্টারমাইন্ড ছিল, যারা এদের ফোন করেছিল, তাদের তো আমরা বিচারের মুখোমুখি করতে পারিনি। আমাদের সে প্রচেষ্টা চলছে। আমরা সেগুলো তুলে ধরব জাতির কাছে। এই বিশ্বাসঘাতকরা সেদিন কী করেছিল তা জাতির সামনে তুলে ধরব।”

বঙ্গবন্ধুর ডাকে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “আবার বঙ্গবন্ধু কন্যার ডাকে আজকে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সব ধরনের সহযোগিতা করছে। এই দেশ হলো হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ খ্রিষ্টানের দেশ। এই দেশ সবাই স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সবকিছুর সমান অধিকার পাবে।”

তিনি আরও বলেন, “অনেকেই ইতিহাস বিকৃতি করে অনেক কথা বলছেন। বঙ্গবন্ধুর নামটাও মুছে ফেলার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। আমরা অনেক দৃশ্য দেখেছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দৃশ্য কোনো দিন ভুলতে পারব না। ১৫ আগস্টের কথা কোনো দিন ভুলব না। কী অপরাধ করেছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যরা। এসব কিছুর আজ হিসাব নিকাশের সময় এসেছে।”