উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে গত দুইদিন থেকে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। খুলে দেওয়া হয়েছে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জল কপাট। নিম্নাঞ্চলসহ তিস্তা তীরবর্তী ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বড় বন্যার সঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটছে নদী তীরবর্তী মানুষদের।
সোমবার (১ আগস্ট) সকাল থেকে পানি বাড়তে থাকে তিস্তায়। পানি বাড়ায় বিকেলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ এবং সন্ধ্যায় ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) ভোরে বিপৎসীমার ১৫ এবং সকালে ১৭ সেন্টিমিটার ওপরে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। পানি নিয়ন্ত্রণে খুলে রাখা হয়েছে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জল কপাট।
তিস্তার পানি হ্রাস-বৃদ্ধি অব্যহত থাকায় জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও লালমনিরহাট সদরের ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট, নিরাপদ স্যানিটেশনের অভাবসহ নানা সমস্যা। বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় গৃহপালিত পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চরবাসী। আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন তারা। তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, লালমনিরহাট ও নীলফামারীর নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।