রেলক্রসিংয়ে অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় রিকশা ও অটোযাত্রীসহ অর্ধশত মানুষ। গেটকিপারের অসাবধানতায় রেলক্রসিংয়ের বার এক লাইনে আর ট্রেন যাচ্ছে অপর লাইনে এমন একটি ভিডিও মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে লালমনিরহাট জেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে গেটকিপার নাহের হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ আরও বলেন, “তিন কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনা তদন্তের জন্য রেলওয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. ছহির উদ্দিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
এরআগে রোববার (৩১ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টায় দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারীগামী কমিউটার ট্রেন লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে বুড়িমারী অভিমুখে যাওয়ার পথে শহরের ব্যস্ততম বিডিআর গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শহরের ব্যস্ততম এলাকা বিডিআর গেট সড়কের ওপর দিয়ে তিনটি রেললাইন চলে গেছে (লালমনিরহাট-বুড়িমারী রুটে দুটি এবং লালমনিরহাট-মোগলহাট রুট)। রোববার বিকাল ৩টার দিকে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসে বুড়িমারীগামী কমিউটার ট্রেন। পরে লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে বুড়িমারীর অভিমুখে যেতে থাকে। এ সময় রেলক্রসিংয়ের বার যে লাইনে ট্রেন যাচ্ছে সে লাইনে না ফেলে অসাবধানতায় অপর একটি লাইনে ফেলে রাখেন গেটকিপার। মুহূর্তে অপর লাইনে ট্রেন চলে এলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে অল্পের জন্য দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যায় রিকশা ও অটোরিকশার যাত্রীসহ অর্ধশত পথচারী। এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি দেখে টনক নড়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। ঘটনার ঘণ্টা খানেক পরেই অভিযুক্ত গেটকিপার নাহের হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে রেলওয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. ছহির উদ্দিনকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিডিআর এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী আপন ইসলাম জানান, গেটকিপারের দায়িত্বে অবহেলার কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে অনেকে রক্ষা পেয়েছে। এরআগেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলেও তিনি দাবি করেন।