কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তেল, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ভোলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আবদুল রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী নিহত এবং পুলিশের পাঁচ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
রোববার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কালিনাথ রায় বাজার এলাকায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে তা সদর রোড পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে বিএনপির কর্মীরা ইট-পাটকেল ছোড়েন। বিপরীতে পুলিশ সদস্যদের টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়তে দেখা যায়। গুলিবিদ্ধ দুজনকে বরিশালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
তেল, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোলায় বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করছিলেন। বিক্ষোভ শেষে মিছিল করা কথা ছিল তাদের। কিন্তু সমাবেশ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ অতর্কিত হামলা করে বলে অভিযোগ করেন নেতাকর্মীরা।
ভোলা সদর থানার ডিউটি অফিসার কবির হোসেন বলেন, “বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর হামলা হলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন মারা যাওয়ার কথা শুনেছি। তবে বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত নই।
জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ূন কবির শোপান বলেন, “পুলিশের গুলিতে আব্দুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী নিহত হয়েছেন।”