রাবি ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামীসহ আটক ২

রাজশাহী প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২২, ০১:৪৪ পিএম

রাজশাহীর বিনোদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে মোসা. রিমা আক্তার (২১) নামের এ তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিনোদপুরের ধর্মপুরে অবস্থিত একটি ভাড়া বাসা থেকে ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

রিমা আক্তার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার জোতপাড়া গ্রামে। স্বামীর সঙ্গে ধর্মপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন রিক্তা। তার স্বামী আব্দুল্লাহ ইসতিয়াক রাব্বি (রাবির) অ্যাপ্লাইড ম্যাথম্যাটিকস বিভাগের ছাত্র। তার বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামে।

উদ্ধারের পর লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহতের সহপাঠীরা বলছেন, মৃত্যুর বিষয়টি সন্দেহজনক।

নিহতের স্বামী রাব্বি জানান, শুক্রবার বিকেলেও তাদের কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। এ সময় রাগ করে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরে কিছু না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১২টার দিকে ঘুম দেখে উঠে দেখেন, তার স্ত্রী জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। তখনো না ঘুমিয়ে জানালার পাশে কী করছে জানতে চেয়ে স্ত্রীর কাছে গিয়ে দেখেন, তিনি জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। তখন তিনি চিৎকার করে নিজেই ফাঁস থেকে তাকে খোলার চেষ্টা করেন। নিজে ফাঁস খুলতে না পেরে তিনি পাশের কক্ষের ভাড়াটিয়া তার বন্ধুকে ডাকেন। এরপর রিক্তাকে ফাঁস থেকে খুলে আব্দুল্লাহ এবং তার বন্ধু তাকে নিয়ে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। রামেকে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত ডাক্তার জানান, আগেই তার স্ত্রী মারা গেছেন।

এদিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী ও স্বামীর বন্ধুকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। রিক্তা ও তার স্বামীর মোবাইল ফোনও নিজেদের কাছে নিয়েছে পুলিশ।

এ বিষয়ে রাবি আইন বিভাগের সভাপতি হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, “আমি রিক্তার মৃত্যুর বিষয়টা জেনে গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত হয়েছি। খবরটি জানার পরে রাতেই আমি হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে।”

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, “রিক্তার স্বামী ও তার বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমাদের হেফাজতে রেখেছি। মৃতের আত্মীয়স্বজন আসার পরে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।”