বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২২ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে উল্লেখযোগ্য ও প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতি সরূপ তিনি এই সম্মাননা পদক পাচ্ছেন।
আগামী ২৩ জুলাই জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবসে এই পদক প্রদান করা হবে। রাজধানী ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিতব্য অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মোহাম্মদ কামরুল হাসান জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বিশেষ টিম গঠন করে জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন।
রোবটিকস ও প্রোগ্রামিংয়ের এই কাজগুলোতে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাজমা আশরাফি, সহকারি কমিশনার নাসরিন সুলতানা নিপা ও ফাহিমা বিনতে আখতার।
এই যাত্রায় সর্বশেষ মাইলফলক হিসেবে দেশের প্রথম স্কুল অব রোবটিক্স প্রতিষ্ঠা করেন তারা। পাশাপাশি জেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১০৮টি রোবটিক্স এবং প্রোগ্রামিং ক্লাব চলমান রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২২ এর জন্য মনোনীত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঊর্ধতনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই খুশি। কুমিল্লায় আসার পরই আমার সহকর্মীদের নিয়ে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করি। বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেই। এসব কাজের প্রেক্ষিতেই আমাকে এই পদকের জন্য মনোনীত করা হয়। আমি আমার সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এই পদক প্রাপ্তি আমার কাজের পরিধিকে আরও বাড়িয়ে দিবে।”
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে সামনে রেখে বাধ্যতামূলকভাবে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শিক্ষায় আগ্রহী করে তুলতে নানান পদক্ষেপ নেয় কুমিল্লা জেলা প্রশাসন। এই শিক্ষার্থীদের তালিকায় নিয়ে আসা হয় অভিভাবক এবং শিক্ষকদেরও। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং কর্মচারিদের জন্য ব্যবস্থা করা হয় প্রশিক্ষণের।
প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমের মধ্যে প্রান্তিক পর্যায়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের কার্যক্রম ত্বরান্বিতকরণ, রোবটিক্স ক্লাব গঠন, পাঠক্রমে বিজ্ঞানবিষয়ক সূচি অন্তর্ভূক্ত, বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক আয়োজনসহ ধারাবাহিকভাবে সেমিনার এবং সিম্পোজিয়াম ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
সর্বশেষ এই যাত্রায় জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে কুমিল্লায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে স্থাপিত হয়েছে ‘স্কুল অব রোবটিক্স’। ইতোমধ্যে এই স্কুলের সকল কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে।