২০১৮ সালে দায়ের হওয়া নাশকতার মামলায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিবসহ ২০ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধা জেলা ও জজ আদালতের বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরআগে, আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ২০ নেতাকর্মী। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মঞ্জুর মোর্শেদ বাবু। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মীদের মধ্যে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহামুদুল প্রমানিক মাহামুদ ও ছাত্রদল নেতা মারুফ প্রমানিকের নাম জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বাকিদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফারুক আহম্মেদ প্রিন্স জানান, দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা ২০ আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের কয়েকদিন আগে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহরের একটি বাসায় বিএনপি, জামায়াত ও ছাত্রদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গোপন বৈঠক করছিলেন। এ সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীকে জিহাদি বইসহ গ্রেপ্তার করলেও বাকিরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানার তৎকালীন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাজেন্দ্র মোহন চাকি বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে (নাশকতা) থানায় মামলা করেন। এই মামলায় বিএনপি, জামায়াত ও ছাত্রদলের ৪৮ জন নামীয়সহ অজ্ঞাত ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করা হয়।