আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নড়াইলের ঘটনার ক্ষতি সম্পর্কে বলতে নিষেধ করছেন বলে অভিযোগ করেন সিপিবি কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) প্রিন্সের নেতৃত্বে বামজোটের সমন্বয়কারী আ. সাত্তার, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য সীমা দত্তসহ কেন্দ্রীয় নেতারা ক্ষতিগ্রস্তদের বসতভিটায় যান এবং তাদের কথা শোনেন। পরিদর্শন শেষে তিনি এ অভিযোগ করেন।
প্রিন্স বলেন, “হিন্দুদের সঙ্গে কথা বলতে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা চাপের মধ্যে রেখে ঘটনাটির ক্ষতি সম্পর্কে বলতে নিষেধ করছেন।”
সীমা দত্ত বলেন, “এই ঘটনায় সরকারকে দায় নিতে হবে, তাদের দলের নেতাকর্মীরাই সাম্প্রদায়িকতার ইস্যু তুলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে, এরা ভারত থেকে এখানে আসেনি, বাংলাদেশেই তাদের জন্ম। এদের নিরাপত্তা দিতে প্রশাসন ব্যর্থ।”
প্রত্যেক হিন্দু নারীদের চোখে-মুখে আতঙ্ক দেখেছেন উল্লেখ করে সীমা দত্ত আরও বলেন, “ভুক্তভোগীরা আতঙ্কে কথা বলছেন না, এখনও তাদের ভয় দিয়ে ক্ষতির কথা বলতে নিষেধ করা হচ্ছে।”
সাহাপাড়া মন্দিরে কথা বলার সময় ভুক্তভোগীরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাধার মুখে পড়েন। মালা সাহার সঙ্গে কথা বললে তিনি প্রতিনিধি দলকে জানান, তার বাড়ির লুটের কথা বলতে গেলে হুমকি দেওয়া হয়। এ সময় সাংবাদিক প্রতিনিধিরা এই কথার রেকর্ড করেন।
হিন্দুদের হুমকির বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে প্রশ্ন করা হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সংবাদ প্রকাশের প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম তুহিনের ওপর আক্রমণ করতে উদ্যত হয়। তাকে হেনস্তা করে তারা। পরে পুলিশ এসে তাদের থামায়।
এদিকে দুপুরে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনের সময় খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজামউদ্দিন খান নিলু প্রমুখ।