‘রোদ দেখলেই মাথা চক্কর দেয়’

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২২, ০৫:২৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে রাঙামাটির জনজীবন। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে আগামী এক সপ্তাহ এমন তাপদাহ চলতে পারে। মাঝে মাঝে অল্প পরিমাণ বৃষ্টি হলেও তা গরমের মাত্রা যেন আরও বাড়িয়ে দেয়। ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন।

টানা কয়েকদিনের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষেরা। একই সঙ্গে অফিসগামী চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীরাও পড়েছে চরম কষ্টে। কাজের প্রয়োজনে যাদের বাহিরে বের হতে হয় তাদের দুর্ভোগ চরমে। এদিকে জুলাই মাসে রাঙামাটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্র রেকর্ড হয় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র গরমে রাঙামাটি শহরের রাস্তা-ঘাট অনেকটা ফাঁকা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দিনের বেলায় রোদে কেউ বাহির হচ্ছে না। তীব্র গরমে দেখা দিচ্ছে জ্বর-সর্দির মতো অসুখ। হাসপাতাল ও চিকিৎসকের চেম্বারে দেখা যায় রোগীদের উপস্থিতি।

এদিকে প্রচণ্ড গরম থেকে বাঁচতে বেশি বেশি পানি পান করা পাশাপাশি খুব বেশি প্রয়োজন না হলে রোদে না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

শ্রমিক আবুল খায়ের বলেন, “অসহ্য গরম চামড়াসহ জ্বালাপোড়া করে, মাথা ঘুরায়। পেটের দায়ে তাও কাজ করতে বের হতে হয়।”

ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের বলেন, “বেচা-বিক্রি দিনের বেলায় অনেক কমে গেছে। দিনের বেলায় মানুষ কম বের হচ্ছে বাসা থেকে।”

মো. করিম হোসেন বলেন, “রোদ দেখলেই মাথা চক্কর দেয়। প্রচণ্ড রোদে মনে হয় এই বুঝি অজ্ঞান হয়ে যাবো।”

যোগেশ চাকমা বলেন, “পাহাড়ি এলাকা হিসেবে জানতাম একটু কম গরম পড়বে। এখন দেখি প্রচুর গরম। পাহাড় থেকে অবাধে গাছ কাটার ফল বোধহয় এই অবস্থা।”

রাঙামাটি আবহাওয়া কার্যালয়ের এসও  ক্যাসিনো মারমা বলেন, “রাঙামাটিতে বৃষ্টি তেমন নাই। জুলাই মাসের এই গরম আরও সাপ্তাহখানেক থাকবে। জুলাই মাসে রাঙামাটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।”