চাঁদপুরের ৪০ এবং লক্ষ্মীপুরের ১১ গ্রামে ঈদ উদযাপন

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২২, ১১:০৭ এএম

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ (হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ ও মতলব উত্তর উপজেলা) এবং লক্ষ্মীপুরের ১১টি গ্রামে শনিবার (৯ জুলাই) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।

চাঁদপুর

জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারীরা ঈদ উদযাপন করেছেন বলে নিশ্চিত করেন দরবারের পীর মো. আরিফ চৌধুরী।

আরিফ চৌধুরী বলেন, দরবারের প্রতিষ্ঠাতা পীর মাওলানা ইসহাক প্রথম চন্দ্র দর্শনের ভিত্তিতে ধর্মীয় উৎসব পালনের রেওয়াজ চালু করেন।

সাদ্রা ঈদগাঁ মাঠে ঈদের জামাতে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীর মাও. মুফতি জাকারিয়া আল মাদানী। এ ছাড়াও অন্যান্য মসজিদে ঈদের জামাতে ইমামতি করেন মেঝ হুজুর মাও. আবু বকর মো. ইসমাইল, সেঝ হুজুর মাও. আবুল খায়ের।

জানা গেছে, ১৯২৮ সাল থেকে হাজীগঞ্জের রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর ও পবিত্র ঈদ-উল-আজহা পালন উদযাপন শুরু করেন। এরপর থেকে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামের মানুষ রোজা ও আগাম ঈদ পালন করে আসছেন।

তবে এ বছর সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারীরা দুই ভাগে ঈদ করেছেন। তাদের মধ্যে দুই পক্ষই বলছেন, সৌদি আরব নয়, তারা চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে রোজা ও ঈদ পালন করে থাকেন।

স্থানীয়রা জানান, হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, দক্ষিণ বলাখাল, নিলাম বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বড়কুল, অলিপুর, উচ্চঙ্গা, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাশারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট।

মতলব উপজেলার মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির কয়েক গ্রামসহ চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরিশাল,পটুয়াখালী, বরগুনা, শরীয়তপুর ও চট্টগ্রাম জেলার কয়েকটি স্থানে মাও. ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।

এ বিষয়ে সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীরের ছেলে সাহেবজাদা ড. বাকী বিল্লাহ্ মিশকাত চৌধুরী বলেন, সৌদি আরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন ও ঈদ উদযাপন করে থাকি।

লক্ষ্মীপুর

১১টি গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। সদর উপজেলার বশিকপুর, রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, হোটাটিয়া, শরশোই, কাঞ্চনপুর এবং রায়পুর উপজেলার কলাকোপাসহ ১১ গ্রামের হাজারও মানুষ শনিবার ঈদ উদযাপন করছেন।

রামগঞ্জ উপজেলার খানকায়ে মাদানিয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসা মাঠে ঈদের প্রধান নামাজ শুরু হয় সকাল ৮টায়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা রুহুল আমিন। এ ছাড়া নোয়াগাঁও বাজারের দক্ষিণ-পূর্ব নোয়াগাঁও ঈদগাহ ময়দানসহ বিভিন্ন ছোট-বড় মসজিদে ঈদের নামাজ হয়েছে।

মাওলানা ইসহাক (রাঃ)-এর অনুসারী হিসেবে লক্ষ্মীপুরের এসব এলাকার মানুষ মক্কা-মদিনার সঙ্গে মিল রেখে সব ধরনের ধর্মীয় উৎসব পালন করেন। ৪০ বছর ধরে তারা এক দিন আগে ঈদ উদযাপন করছেন।