দোকানের কর্মচারী সীমা সবেমাত্র চা হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন পরিচালক রত্না খাতুনের। তিনি চায়ের কাপ ঠোঁটে ছোঁয়াবেন, এমন সময় হঠাৎ যেন তার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। একটি লাল ধূসর রঙের গরু গ্লাসের দরজা ভেঙে দুরুম করে ঢুকে পড়লো তার দোকানে। এরপর এক লাফে শোকেসের ওপর। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়া সদর উপজেলার ধরমপুরে বুধবার সন্ধ্যায় ‘জাফরিন কালেকশন’ নামের একটি দোকানে। গরুর এমন কাণ্ডে দোকানে থাকা দু’জন নারী সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
জানা গেছে, বগুড়া সদর উপজেলার ধরমপুর এলাকার মনছুর আলী বুধবার সন্ধ্যায় মহাস্থান হাট থেকে কোরবানির জন্য একটি গরু কিনে ভটভটিতে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। গাড়ি থেকে নামানোর সময় হঠাৎ গরুটির দড়ি ফসকে যায়। এ সময় ওই গরু ভয় পেয়ে এদিক-সেদিক ছোটাছুটির এক পর্যায়ে ‘জাফরিন কালেকশন’ নামের ওই দোকানের গ্লাসের দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে। এ সময় দোকানে থাকা দু’জন নারী গরু দেখে চিৎকার শুরু করে। এতে গরুটি ভয় পেয়ে লাফ দিয়ে শো-কেসের উপরে ওঠে। ফলে সেটিও ভেঙে যায়। এছাড়া গরুটি শিং এবং পা দিয়ে দোকানের আরো কিছু জিনিসপত্র ভাঙচুর করে।
রত্না খাতুন বলেন, “মাত্র সীমা আমাকে চা দিয়েছে। আমি চা খাবো। এমন সময় গরুটি গ্লাসের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। এসময় গরুটি ভেতরে ঢুকে লাফালাফি করতে শুরু করে। আমরা চিৎকার করতে থাকি। আমি ও দোকানের কর্মচারী সীমা আঘাত পেয়েছি।”
জাফরিন কালেকশনের স্বত্বাধিকারী রিন্টু মিয়া জানান, তিনি ও তার স্ত্রী রত্না খাতুন দু’জনে মিলেই দোকানটি পরিচালনা করেন। ঘটনার সময় তার স্ত্রী এবং সীমা নামের এক কর্মচারী ছিল দোকানে। তিনি পাশেই ছিলেন। হঠাৎ করে দোকানের ভেতর থেকে চিৎকার শুনে তিনি গিয়ে দেখেন, দোকানে ভেতর ঢুকে গরু সবকিছু ভেঙে ফেলেছে। এরপর দোকানে থাকা তার স্ত্রী ও কর্মচারীকে তিনি চিৎকার থামাতে বললে কিছুক্ষণ পর গরুটি শান্ত হয়। এসময় আশপাশ থেকে আরো কয়েকজন লোক এসে গরুটিকে দোকান থেকে বের করে। পরে গরুটিকে তার মালিক মনছুর আলীকে দিয়ে দেওয়া হয়।
রিন্টু মিয়া বলেন, “এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। তবে এ ঘটনায় তার ৪৫ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।”