মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার পঙ্গুয়াই উমেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংক থেকে সামাদ মিয়া (১৫) নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়। বন্ধুর বোনের সঙ্গে প্রেম করায় সামাদ মিয়া খুন হয় বলে জানিয়েছে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চার তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।
বুধবার (৬ জুলাই) সকালে ডিবির পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন রবিন মিয়া (১৯), রোহান মিয়া (২৪), মোস্তাজিুর রহমান ওরফে নাঈম (১৯) ও শাহীনুল ইসলাম (২২)। মঙ্গলবার রাতে তারাকান্দা ও ফুলপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপজেলার দাদরা গ্রামের সামাদ মিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল একই গ্রামের রবিন মিয়ার। রবিনদের বাড়িতে যাতায়াতের সুবাদে তার বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সামাদের। বোনের সঙ্গে বন্ধুর প্রেমের বিষয়টি মানতে পারেননি রবিন। তিনি প্রেমের সম্পর্ক থেকে সামাদকে ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সামাদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন রবিন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে রবিন, রোহান ও নাঈম সামাদের অটোরিকশায় ঘুরে বেড়ান। পরিকল্পনা অনুযায়ী, শাহীনুল ও অজ্ঞাতনামা আরও দুজন উমেদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের পেছনে অপেক্ষা করতে থাকেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে অটোরিকশাটি রেখে রবিন, রোহান ও মোস্তাফিজুর কৌশলে সামাদকে নিয়ে বিদ্যালয়ের পেছনে একটি ঝোপের কাছে যান। সেখানে নিয়ে গিয়ে সামাদের গলায় প্লাস্টিকের দড়ি বেঁধে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকের ভেতর ফেলে রাখেন।
ময়মনসিংহ ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম জানান, নিহত সামাদের বাবা মো. শাহজাহান বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এ মামলায় আসামিদের বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।