ডাকবাংলো এখন ময়লার ভাগাড়

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২২, ১০:৫৯ এএম

সাতক্ষীরার তালা উপজেলা ডাকবাংলো এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ডাকবাংলো চত্বরে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানটি তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। ডাকবাংলো ব্যবহার করে থাকেন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিশেষ প্রয়োজনে। কিন্তু যথাযথ তদারকির অভাবে ডাকবাংলোর পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এতে বাইরে থেকে আগতদের মনে বিরূপ ধারণা তৈরি হচ্ছে। তালাবাসীর দাবি, কর্তৃপক্ষের সামান্য তদারকিতে এ চিত্রের পরিবর্তন সম্ভব।

সরেজমিনে দেখা যায়, ডাকবাংলো চত্বরে কেয়ারটেকারের পোষা গরু, ছাগল, মুরগি ঘোরাঘুরি করছে। দক্ষিণ পাশে ময়লার স্তূপ জমে আছে। তালা বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় এখানে। এ ছাড়া ডাকবাংলোর সামনে অসংখ্য গাছের গুঁড়ি দীর্ঘদিন ফেলে রাখা হয়েছে। কিন্তু এসব নিয়ে কর্তৃপক্ষের যেন কোনো মাথাব্যথা নেই। ডাকবাংলোর সীমানাপ্রাচীর না থাকায় বাজারের ব্যবসায়ীরা যে যার মতো ব্যবহার করছে ডাকবাংলোর চত্বর। রাতের আঁধারে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ডাকবাংলো চত্বরে বর্জ্য ফেলে যায়। কয়েক বছর আগে ডাকবাংলোর পেছনের অংশে তালা বাজার বণিক সমিতির উদ্যোগে মাটি ভরাট করে স্থানীয় এলাকাবাসীর জন্য একটি মিনি পার্ক তৈরি করা হয়। সেখানে বিভিন্ন বয়সী শিশুরা খেলাধুলা করত। কিন্তু তদারকির অভাবে সেটাও নষ্ট হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে তালা বাজারের ব্যবসায়ী জুলফিকার ভুট্টো বলেন, ডাকবাংলো চত্বর হাঁস-মুরগির খামারে পরিণত হয়েছে। বাংলোর পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ডাকবাংলোতে একটা মিনি পার্ক ছিল। সাধারণ মানুষ এখানে এসে বসত। শিশুরা খেলা করত। কিন্তু তদারকির অভাবে সেটাও এখন নষ্ট।

তালা নাগারিক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন জোয়ার্দার বলেন, ডাকবাংলো একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এখানে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্তাব্যক্তিরা রাত্রিযাপন করা ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু বর্তমানে ডাকবাংলোর যে অবস্থা, তাতে থাকার কোনো পরিবেশ নেই। কেয়ারটেকার বাংলোটি ভাগাড়ে পরিণত করেছে।

তালা ডাকবাংলোর কেয়ারটেকার বলেন, “অনেকে রাতের আঁধারে ময়লা ফেলে। আমার কিছু করার থাকে না।”

পরিবেশকর্মী মো. আল ইমরান খান রাব্বী বলেন, “অতিথিদের জন্য ডাকবাংলো প্রয়োজনীয় একটি জায়গা। কিন্তু এর বর্তমান পরিবেশ আগতদের ব্যথিত করবে। ডাকবাংলোটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা।”

সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান জানান, সমস্যা সমাধানে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সীমানাপ্রাচীরের জন্য বরাদ্দ হয়েছে। ঈদের পর টেন্ডার দিয়ে সীমানাপ্রাচীরের কাজ শুরু করা হবে। আশা করি তখন সব সমস্যা সমাধান হবে।