দুই মাসে টানা দুইবার সুনামগঞ্জে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। বন্যায় এ জেলার মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। পাশাপাশি দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের চরম সংকট।
ভারী বৃষ্টি ও ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জির ঢলের পানিতে গত ১৬ জুন থেকে সুনামগঞ্জ জেলায় দেখা দেওয়া বন্যায় ৯৮ ভাগ ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়। ভেসে যায় প্রায় সাড়ে চার লাখ গবাদিপশু। একই সঙ্গে ভেসে গেছে ৯০০ মেট্রিক টন গো-খাদ্য। যে কারণে বেঁচে যাওয়া গবাদিপশু নিয়ে সংকটে পড়েছেন মালিকরা। কোনোভাবেই তাদের জন্য খাদ্য সংগ্রহ করা যাচ্ছে না।
জেলা প্রাণিসম্পদ সূত্রে জানা গেছে, ভেসে যাওয়া ৯০০ মেট্রিক টন গো-খাদ্যের মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে ১০০ মেট্রিক টন, ছাতক থেকে দেড়শ মেট্রিক টন, দোয়ারাবাজার থেকে ৬০ মেট্রিক টন, জগন্নাথপুর থেকে ১০০ মেট্রিক টন, জামালগঞ্জ থেকে ৬০ মেট্রিক টন, দিরাই থেকে ১২০ মেট্রিক টন, বিশ্বম্ভরপুর থেকে ৩০ মেট্রিক টন, তাহিরপুর থেকে ৬০ মেট্রিক টন, শাল্লা থেকে ৩০ মেট্রিক টন, ধর্মপাশা থেকে ৮০ মেট্রিক টন ও শন্তিগঞ্জ থেকে ১১০ মেট্রিক টন গো-খাদ্য ভেসে গেছে। প্রাথমিকভাবে যার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
সুনামগঞ্জ জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জানান, বন্যায় এবার জেলার ১১টি উপজেলায় ৯০০ মেট্রিক টন গো-খাদ্য নষ্ট হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন গো-খাদ্য ৫২ হাজার টাকা হিসেবে ধরলে ৯০০ মেট্রিক টন গো-খাদ্যের মূল্য দাঁড়ায় ৪ কোটি ৫৮ হাজার টাকায়।
তিনি আরও জানান, ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।