স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সিলেটে ৩০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছিলেন। এর মধ্যে আড়াই লক্ষাধিক মানুষ ৬১৪টি কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যায় বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫ লাখ পরিবার। ১৩টি উপজেলায় ৪০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে সিলেট জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি নির্মাণ বা মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থসহায়তা বরাদ্দের আবেদন করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট জেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ভেসে যায় সিলেট সিটি করপোরেশন, ৫টি পৌরসভা এবং ১৩টি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে জেলার প্রায় ৩০ লাখ মানুষে পানিবন্দি হয়ে পড়েন। এ পর্যন্ত জেলার ৬১৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৫২ হাজার ৭৮৪ জন লোক আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।
আর প্রত্যক্ষভাবে গ্রামীণ জনপদের ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৩টি পরিবার ঘরবাড়ি ভেঙে, ফসল নষ্ট হয়ে এবং আরও নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশন ছাড়া জেলার ১৩টি উপজেলা ও ৫টি পৌরসভায় অন্তত ৪০ হাজার ৯১টি কাঁচা ঘরবাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর ঘরবাড়ি নির্মাণ বা মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের আবেদন জানিয়েছে সিলেট জেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, “বন্যায় সিলেট জেলার প্রায় ৪০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানি এখনো পুরোপুরি নেমে যায়নি। তবে যেসব এলাকায় পানি নেমে যাচ্ছে, সেসব এলাকায় ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তালিকা পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে অনুদান এলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।”