ঘাস ও লতা-পাতা খেয়ে ১১০০ কেজি ওজনের বারাকাতের দাম ১৫ লাখ টাকা। দাম শুনে বোঝা যাচ্ছে কেমন গরু হবে এটি। ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় ৫ নম্বর সৈয়দপুর ইউনিয়নের থুমুনিয়া শাহাপাড়া নিজ বাড়িতে গরুটি লালন-পালন করছেন ওই গ্রামের জিল্লুর রহমান।
তিনি গরুটির দাম হেঁকেছেন ১৫ লাখ, এখন পর্যন্ত মূল্য উঠেছে সাড়ে ১৩ লাখ টাকা পর্যন্ত।
জিল্লুর রহমান জানান, চার দাঁতের কালো-সাদা রঙের এ গরুর বয়স চার বছর। তিনি গরুটিকে ঘাস, লতা-পাতা, খৈল, খড়, ভাতের মাড় খাইয়ে বড় করেছেন। গরুটি লম্বায় ৯ ফুট, উচ্চতায় বুকের মাপও ৯ ফুট এবং ওজন ১১০০ কেজি। খুবই শান্ত ও রোগমুক্ত এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত হলস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি তিনি আসন্ন কোরবানির পশুর হাটে বিক্রি করতে চান।
২০১১ সালের দিকে জিল্লুর রহমান বাড়িতেই গড়ে তুলেছিলেন খামার। বর্তমানে তার খামারে বিভিন্ন জাতের ২০টির মতো গরু রয়েছে। তবে তিনি যে গরুটি বিক্রির ইচ্ছে পোষণ করেছেন, এটি তার খামারের সর্বপ্রথম বড় গরু।
গরুটির মালিক আরও জানান, গরুটিকে মোটাতাজাকরণের ওষুধ ও ইনজেকশন এমন কোনো কিছুই প্রয়োগ করা হয়নি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের দেওয়া পরামর্শে সঠিক পরিচর্যা করা হয়েছে। রংপুর বিভাগের বাইরের কোনো ক্রেতা বারাকাতকে ক্রয় করলে গরুর মালিক তার নিজস্ব খরচে পৌঁছে দিবেন।
গরুটির পেছনে দৈনিক খাদ্যের খরচ হয় এক হাজার টাকা। প্রতিদিন গ্রামের অসংখ্য মানুষ গরুটিকে দেখতে আসছেন। ইতিমধ্যে অনেকেই গরুটি কেনার আগ্রহ দেখিয়েছেন। কিন্তু দাম বনিবনা না হওয়ায় এখনও বিক্রি হয়নি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. সোহেল রানা বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্য সম্মত খাদ্য ও পুষ্টির সুষম প্রয়োগে ষাঁড়টি পালন করা হয়েছে। এভাবেই আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছেন।
সোহেল রানা আরও বলেন, “এবারের কোরবানির ঈদে গরুখামারিদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো মার্কেটিং। এ ধরনের ষাঁড় বা দামি গরুগুলো সাধারণত ঢাকাসহ বাইরের ক্রেতারা কিনে থাকেন। আমরা বিভিন্নপর্যায়ে চেষ্টা করছি আগ্রহী ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে।”