লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্যাহকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাতজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. সুমন, মো. মুরাদ, জাকির হোসেন, মো. কামাল, আলমগীর হোসেন, মো. রিপন ও মো. নিশান। তারা সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর ও নন্দীগ্রামের বাসিন্দা।
দণ্ডপ্রাপ্তরা স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তারা ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদালতে আসামিরা দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। রায়ের সময় আসামি মো. সুমন উপস্থিত ছিলেন। অন্যরা জামিনে গিয়ে পলাতক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আহসান উল্যা সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজারে হাবুল্লার ফলের দোকানে কাজ করতেন। ২০১৪ সালের ২৫ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে দোকান থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথা ও পিঠে আঘাত করেন এবং পেট ও পিঠে গুলি করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা আহসান উল্যার পাশে আসামিদের একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক আহসান উল্যাকে উদ্ধার করে পোদ্দারবাজার জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় পরের দিন, ২৬ জুলাই নিহতের ছেলে মো. আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০১৫ সালে ২৬ জুন ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ওই মামলায় সাতজনের যাবজ্জীবন সাজা ও অর্থদণ্ডের রায় দেন বিচারক।