ভোলা-বরিশাল সীমানায় চর দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৭ পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চর চটকিমারা ও বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন ভেদুরিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) ইনজামুল হোসেন (২৯), চর চটকিমারা পুলিশ ক্যাম্পের সদস্য আরিফ (২৫), আলিম (২৪), সাগর (২৪), পিয়াল রোগা (২৪), শ্রী সুজয় (২৪), শফিউর (২৫)। এর মধ্যে চার পুলিশ সদস্য রাত ১০টার দিকে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকী ৩ জন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, বিকেলে মেহেন্দীগঞ্জের শ্রীপুর ইউনিয়নের রুবেল কাজীর গ্রুপ ভোলার সীমানায় এসে ঘর নির্মাণ করছিলেন। এ সময় ভোলার চর চটকিমারা এলাকার বাসিন্দারা তাদের বাধা দিলে দুই গ্রুপরে মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে চর চটকিমারা পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে তাদের ওপরও হামলা হয়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে প্রায় ২৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েক বছর ধরে শ্রীপুরের রুবেল কাজী প্রায়ই ভোলার চর চটকিমারা সীমানায় প্রবেশ করে মানুষের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ লুটপাট করে আসছে। রুবেল কাজীর হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় চরের বাসিন্দারা অতিষ্ট হয়ে চরে পুলিশ ক্যাম্পে স্থাপনের দবি করেন। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরে ওই চরে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। এর পরও রুবেল কাজীর হামলা ও দখলের ভয়ে আতঙ্কে থাকেন চরের বাসিন্দারা।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভোলা-বরিশাল সীমানায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে চার পুলিশ সদস্য আহত হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রায় ২৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।