কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে অপহৃত শিশু মোকারমকে (৯) সাত দিন পর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার মদনপুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারের পর শুক্রবার (৩ জুন) রাতে তাকে ভৈরব থানায় নিয়ে আসা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত মূলহোতা শিশুটির খালু বাবু মিয়া (২৯) ও তার প্রথম স্ত্রী নূরুন্নাহার অনুকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৪ জুন) দুপুরে ভৈরব থানায় নিজকক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা।
তিনি জানান, গত ৩ মাস আগে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে শিশু মোকারমের খালার সঙ্গে পরিচয় ও বিয়ে হয় বাবু মিয়ার। বাবু মিয়া মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার খিদিরপুর গ্রামের মৃত মালেক মিয়ার ছেলে।
শনিবার (২৮ মে) সকালে বাবু মিয়া ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের কামারকান্দা গ্রামে তার ভাইরা ভাই রহমত উল্লাহর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। কিছুক্ষণ পর শিশু মোকারমকে নিয়ে স্থানীয় শ্রীনগর বাজারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অপহরণ করে। এরপর রাত সাড়ে ৭টার দিকে মোবাইলে রহমত উল্লাহর কাছে মুক্তিপণ বাবদ ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন। অন্যথায় শিশুটিকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এই অবস্থায় তারা বাবুর দেওয়া বিকাশ নম্বরে ৫ হাজার টাকা পাঠায়।
এ বিষয়ে গত বুধবার (১ জুন) মোকারমের বড় ভাই রুবেল মিয়া ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ভৈরব থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। পরদিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে পুলিশ।
ওইদিন রাতে (২ জুন) এসআই মোস্তাকের নেতৃত্বে একটি টিম তথ্য-প্রযুক্তির সূত্র ধরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় স্থানীয় গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে বাবু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
পরে বাবুর দেওয়া তথ্য সূত্রে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার মদনপুর থেকে বাবু মিয়ার প্রথম স্ত্রী নূরুন্নাহার অনুর বাসা থেকে শিশু মোকারমকে উদ্ধার করে পুলিশ। নূরুন্নাহার অনু ফেনি সদর উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামের মৃত নূর আলমের মেয়ে।