মাগুরা সদর উপজেলার বিয়ের দাবীতে মাকে নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন আসমা আক্তার (১৭) নামের এক তরুণী। এদিকে মা ও মেয়ের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রেমিকের পরিবার বাড়ি ছেলে চলে গেছে।
শুক্রবার (৩ জুন) উপজেলার মঘী ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে ২৩ মে ১তরুণী প্রেমিকের বাড়িতে উপস্থিতি হয়ে বিয়ের দাবিতে ১২ ঘণ্টা অনশন করেছিল। পরে প্রেমিকের প্রতিবেশীদের পরামর্শে সে নিজের অভিভাবককে সঙ্গে আনতে বাড়ি চলে যায়।
শুক্রবার রাতে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রতিবেশীরা প্রেমিক তাজনুরের বাড়ি ঘিরে ভিড় করে আছেন। বিয়ের দাবি করা তরুণী তার মা ছাকিরুর বেগমকে সঙ্গে নিয়ে প্রেমিকের বাড়ির উঠোনে চেয়ারে বসে আছে।
এ বিষয়ে তরুণীর মা বলেন, “আমি ঢাকা গার্মেন্টসে সামান্য একটা কাজ করি। এই মেয়ের বাবার সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় অনেক আগে। তার বাবা অন্য জায়গাতে বিয়ে করেছে। তারপর থেকে আমিই ওর বাবা ও মা। এখন এই ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়েছে বলে আমি জানি। ছেলে আমার মেয়ের সাথে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক করেছে। এখন আমার মেয়ে তাকে বিয়ে করতে বলেছে। কিন্তু ছেলে রাজি থাকলেও তার পরিবার রাজি না। তারা তখন কথা দিয়েছিল অভিভাবক আনলে তারা কথা বলবে। আমি তাই ছুটি নিয়ে মেয়ের সঙ্গে এখানে এসেছি। মেয়ের বিয়ে না দিয়ে আমিও এখান থেকে যাব না।”
ওই তরুণী বলে, “ছেলে রাজি আছে বিয়ে করতে। তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। কিন্তু তার বাবা-মা কেউ রাজি না। তারা আমাকে পছন্দ করে না। না করুক, আমার দরকার ছেলেকে। তারা বিয়ে দিলেই তো সব ঠিক হয়ে যায়।”
এদিকে ছেলের চাচা বাবুল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, “তারা বিয়ের দাবিতে এলেও ছেলের এক চাচাতো ভাইকে ঢাকায় আটকে রেখেছে। বিয়ে না দিলে সাগরকে তারা ছাড়বে না বলে জানিয়েছে। আমরা এবার খুব বিপদে পড়ে গেছি।”
ছেলের চাচাত ভাই সাগরের আটকে রাখার বিষয়টি মেয়ের মা স্বীকার করে বলেন, “সেই সাগর ছেলেটা সবকিছুর জন্য দায়ী। সে সব জানে। আমার মেয়ের সাথে তার চাচাত ভাই তাজনুরের প্রেমের সম্পর্কে কতটা তা সেই সাগর জানে। আমাদের প্রমাণ সে। এজন্য তাকে ঢাকায় নিরাপদে আটকে রেখেছি। এখানে বিয়ে হলে তাকেও ছেড়ে দেবো।”
মঘী ইউনিয়নের ওই ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার তোরাব আলী মুঠোফোনে বলেন, “আমি শুনেছিলাম এরকম একটা ঘটনা আমার এলাকায় ঘটেছে। একটা মেয়ে নাকি বিয়ের দাবিতে এলাকায় তার মাসহ এসেছে। আমাকে যদি ডাকে তাহলে আমি সেখানে যাব।”
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দিলে তারা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।