ঢাকার কেরানীগঞ্জের স্বর্ণ ব্যবসায়ী অনুপ বাউল তার দুই লাখ পাওনা টাকা তুলতে গিয়ে নিখোঁজ হন।
নিখোঁজ থাকার পাঁচ মাস পর বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার চিত্রকোট ইউনিয়নের গোয়ালখালি বিসিক কেমিক্যাল পল্লী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা জেলা গোয়েন্দা ও ঢাকা জেলা পিবিআই পুলিশ যৌথভাবে হত্যাকারী ব্যবসায়ী পাটনার নয়নের তথ্য অনুযায়ী প্রায় ১৫ ফুট গভীর বালির নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঢাকা জেলা পিবিআই পুলিশ জানায় অনুপ বাউলের বাবার নাম কানাই বাউল। তিনি ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার তেঘুরিয়া ইউনিয়নের পাইনা ভৈরব নগর গ্রামের বাসিন্দা।
নিখোঁজ অনুপের ছোট ভাই বিপ্লব জানান, অনুপ গত ৩ জানুয়ারি তার স্ত্রী-সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে সিরাজদিখান থানার ভাড়ালিয়া গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে তার ব্যবসায়ী পার্টনার নয়নের কাছে তার পাওনা দুই লাখ টাকা পাওয়া জন্য চাপ দিতে থাকেন।
একপর্যায় গত ৪ জানুয়ারি সকাল নয়টায় দুই লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলে অনুপকে মোবাইলে ডেকে নেয়। নয়নের কাছে যাওয়ার পর অনুপ নিখোঁজ হন। রাতে শ্বশুর বাড়িতে না ফেরায় অনুপের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ি লোকজন অনেক বার ফোন দিলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। নিখোঁজের পর ৫ জানুয়ারি ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ জিডি না নিয়ে সিরাজদিখান থানায় জিডি করার পরামর্শ দেয়। পরে সিরাজদিখান থানায় জিডি করা হয়।
অনুপের পুরান ঢাকার তাঁতী বাজার এলাকায় একটি স্বর্ণের দোকান রয়েছে। দোকানের ব্যবসায়ীক পার্টনার ছিল নয়ন। নয়নের বাড়ি কেরানীগঞ্জের জৈনপুর এলাকায়। গোয়েন্দা পুলিশ নয়নকে আটক করার পর তার দেওয়া তথ্য মতে বৃহস্পতিবার অনুপ বাউলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ঢাকা জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বিকালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।