বোরাক্স কিউ (অ্যালকোহল) খেয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন আরও দুই জন। তারা জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩১ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে জামালপুরের মাদারগঞ্জের তেঘোরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে মাদারগঞ্জ উপজেলায় তেঘোরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে ‘বোরাক্স কিউ’ নামে একটি হোমিওপ্যাথিক খালি বোতল জব্দ করা হয়েছে।”
নিহতরা হলেন- মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের তেঘরিয়া ঠনঠনিয়া পাড়ার মৃত আমিনুরের ছেলে ইমরান হোসেন ওরফে এসআর (৩৮) ও একই এলাকার মৃত আয়েন সোনারোর ছেলে হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিজুর কসাই (৭০)। এছাড়া গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন উবায়দুর (৩২) ও রবিদাস (৩৪)।
জানা গেছে, ঘটনার খবর পেয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইলিশায় রিছিল, মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ মাহবুবুল হক, ওসি (তদন্ত) আরশেদ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনার পর থেকে নেশা জাতীয় ওষুধ বিক্রেতা ফার্মেসিগুলো বন্ধ রয়েছে।
চরপাকেরদহ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বদরুল আলম সর্দার জানান, ঘটনার রাতে চার জন এক সঙ্গে তেঘরিয়া বাজারের ফার্মেসি থেকে অ্যালকোহল জাতীয় মিশ্রিত ওষুধ পান করার পর যে যার বাড়িতে চলে যায়। পরে রাত ২টার দিকে তারা সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তাদের মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেন এবং বাকি দুই জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের ডেকে এ পেশা ছেড়ে দিয়ে সৎভাবে ব্যবসা করার উৎসাহিত করা হয়। ইতোপূর্বে মাদক বিক্রেতা কৃষ্ণ রবিদাসকে মাদক বিক্রি বন্ধ করার জন্য দুই লাখ টাকা দিয়ে সৎভাবে অন্য কোনো ব্যবসা করার জন্য সহযোগিতাও করা হয়।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ মাহবুবুল হক বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি স্বজনরা গোপনে লাশ দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরে লাশ উদ্ধার করে দুপুরে জামালপুর মর্গে রাখা হয়। এছাড়া যে ফার্মেসিগুলো থেকে তারা ওষুধ কিনে সেবন করেছিল সেগুলো বন্ধ রয়েছে।”