দস্যুতা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবদুল মজিদকে (৬৬) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ১০ বছরের সাজা এড়াতে তিনি দীর্ঘ ৩৫ বছর আত্মগোপনে ছিলেন।
সোমবার (৩০ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পাটুরিয়া ঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন।
গ্রেপ্তার আবদুল মজিদ মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ছকাই গ্রামের মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে। তিনি দৌলতদিয়া ঘাট এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘ ২৮ বছর ট্রাক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন।
র্যাব জানায়, ১৯৮৫ সালে উপজেলার ছকাই গ্রামে নদীর চরে নির্জন স্থানে দস্যুতার মাধ্যমে এক ব্যবসায়ীর কাছে থাকা কাপড় ও নগদ অর্থ লুট করেন আবদুল মজিদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় ওই ব্যবসায়ী বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি দস্যুতা মামলা করেন। মামলায় তিনি তিন মাস ১৬ দিন কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। আদালত আসামির অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পন্ন করে মজিদকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
লে. কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন জানান, আসামি মজিদকে সোমবার সকালে পাটুরিয়া ঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি তার সাজা থেকে বাঁচার জন্য যশোর, ঝিনাইদহ ও ঢাকার আমিনবাজারে আত্মগোপনে ছিলেন। ১৯৯২ সালে মজিদ নাম পরিবর্তন করে মোহাম্মদ ফারুক বেপারী নামে রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় জমি কিনে বসবাস করতে থাকেন।
গ্রেপ্তার আসামিকে মানিকগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওই র্যাব কর্মকর্তা।