ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

সিলেট প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২২, ০৯:৪৬ পিএম

সিলেট নগরীর চৌহাট্টা ও আলিয়া মাদরাসা ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৩ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

এ সময় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন টেলিভিশন সাংবাদিকদের সংগঠন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (ইমজা), সিলেটের সভাপতি মঈন উদ্দিন মঞ্জু। তিনি তখন আলিয়া মাদরাসার ভেতর থেকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা সরাসরি সম্প্রচার করছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘কটুক্তির’ প্রতিবাদে ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের শাস্তির দাবিতে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ মিছিল বের করে। নগরীর চৌহাট্টা এলাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে তারা মিছিলটি বের করে কোর্ট পয়েন্ট ঘুরে আবার চৌহাট্টায় ফিরে যায়।

এ সময় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা ছাত্রদলের একটি মিছিল আলিয়া মাদরাসার সামনে থেকে বের হয়। মিছিল শেষে আলিয়া মাদরাসার গেটের সামনে অবস্থান করছিলেন নেতাকর্মীরা। এ সময় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল মুখোমুখি হলে দুই পক্ষের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। 
ছাত্রলীগের ধাওয়া খেয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আলিয়া মাদরাসার ভেতরে ঢুকে পড়েন। এ সময় পথচারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানার একদল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাঈম আহমদ বলেন, “আমাদের মিছিল শেষে নেতাকর্মীরা চৌহাট্টায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় ছাত্রদল মিছিল বের করার চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া দেওয়া হয়।”

সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান জানান, বিকেল ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা ছাত্রদল মিছিল বের করে। মিছিল শেষে আলিয়া মাদারাসার গেটের সামনে ফুটপাতে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিলেন তারা। তখন পেছন দিক থেকে ছাত্রলীগের কায়েকজন নেতাকর্মী লাঠি নিয়ে হামলা চালায়।

দুইপক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (ইমজা), সিলেটের সভাপতি মইন উদ্দিন মঞ্জুর ওপর কয়েকজন যুবক অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। হামলাকারীরা সাংবাদিক মঞ্জুর হাতে থাকা মোবাইল ফোন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। পরে অন্য সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, “বিকেলে চৌহাট্টা পয়েন্ট থেকে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ পৃথক বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।”