কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটি ভেঙ্গে পড়েছে। এ যেন এক মৃত্যু ফাঁদ। জেটি দিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে কোনো রকমে পার হচ্ছে মানুষ। অচিরেই জেটি মেরামত বা সংস্কার করা না হলে আগামী পর্যটন মৌসুমে পর্যটকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। ফলে ব্যবসা বাণিজ্যের উপর মন্দা প্রভাব পড়ার পাশাপাশি যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে পড়তে হবে নানান সমস্যায়।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের একমাত্র জেটিটি ভেঙ্গে পড়ার ফলে দ্বীপবাসীদের অন্তহীন সমস্যায় দিন কাটাতে হচ্ছে। অতি জনগুরুত্বপূর্ণ সেন্টমার্টিন জেটিতে নোঙর করে শত শত ফিশিং বোট, পণ্য বোঝাই ট্রলার, যাত্রীবাহী নৌকা ও পর্যটকবাহী নৌযান এবং ছোট বড় অনেক জাহাজ।
বিশেষ করে পর্যটক মৌসুমে রাতদিন সেন্টমার্টিন জেটিতে নোঙর করে শত শত নৌযান। হাজার হাজার পর্যটকের পদভারে মুখরিত হয় এই জেটিঘাট। বছরে কোটি টাকার উপরে রাজস্ব আদায় করে সরকার এই জেটি ঘাট থেকে। তাই এই জেটিটি দ্রুত পুনর্নির্মাণ করে আগামী পর্যটন মৌসুমের আগেই নৌযান ভিড়ানোর উপযোগী করার জোর দাবি জানিয়েছেন দ্বীপবাসী ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানিয়েছেন, এ দ্বীপের মানুষ প্রধান দুটি পেশার ওপর জীবিকা নির্বাহ করে। একটি হচ্ছে সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণ অন্যটি পর্যটন মৌসুমে ব্যবসা। এছাড়া শামুক-ঝিনুক বিক্রি, শুটকি, সেন্টমার্টিনে উৎপাদিত ঝাঁঝালো ছোট পিয়াজ পর্যটকের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। শুধু তাই নয়, সামুদ্রিক তাজা মাছ, কাকঁড়া ও ভুনা মাছ বিক্রি করে সংসার চলে দ্বীপবাসীর।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছেন। জেটি পুনর্নির্মাণের প্রক্রিয়া খুব শিগগিরই শুরু করা হবে। তাই জনগণের চাহিদা অনুযায়ী সেন্টমার্টিনের জনগুরুত্বপূর্ণ এই জেটিটি আগামী পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ায় আগেই শেষ করা হবে।