খুলনায় দুই বোনকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আটক ব্যক্তিরা হলেন মুজাহিদ, আজিজুল ও নাঈম।
সোমবার (১৬ মে) সকালে বটিয়াঘাটা থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ জালাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে ও র্যাব দুজনকে আটক করেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাঈম নামে একজনকে আটক করে। ধর্ষণের শিকার দুইজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।
খুলনা র্যাব-৬-এর মুখপাত্র লে. কর্নেল মুহম্মাদ মোসতাক আহমদ বলেন, “ধর্ষণের ঘটনা জানার পর র্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ সোমবার ভোররাতে বটিয়াঘাটার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মুজাহিদ শেখ ও আজিজুল মোড়ল ওরফে মিশরিয়াকে গ্রেপ্তার করে। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে আর কে কে জড়িত, তা জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে।
মোসতাক আহমদ আরও জানান, দুর্বৃত্তরা ওই বাড়িতে ধর্ষণের জন্যই যায়। এরা লম্পট প্রকৃতির, কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য নয়। তবে অন্যদের ধরতে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এর আগে, শনিবার (১৪ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বটিয়াঘাটা উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামে দুই খালাতো বোনকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এক স্কুলছাত্রীর মা জানান, ধর্ষণের ঘটনা শনিবার মধ্যরাতের। সে সময় ঘরে থাকা ২২ মাসের শিশুকে পানিতে চুবিয়ে রাখা হয়। রোববার রাতে মেয়ে দুটি ও শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
তিনি আরও জানান, শনিবার বিকেলে আমি বোনের বাড়ি ডুমুরিয়ায় গিয়েছিলাম। আমার স্বামী বাগেরহাটে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। এ সময়ে বাড়িতে ওরা দুই বোন ছিল। মধ্যরাতে ৭ জন আমাদের বাড়িতে যায়। তাদের কয়েকজন বাইরে পাহারায় থাকে আর কয়েকজন ঘরে ঢুকে দুই মেয়েকে হাত ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। ভোররাতে মেয়ে আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। আমরা গিয়ে তাদের মেডিকেলে নিয়ে আসি। ঘটনার সময় বড় মেয়ের সন্তানের গলায় ছুরি ধরা হয়েছিল।
বটিয়াঘাটা থানার তদন্ত পরিদর্শক জাহিদুর রহমান জানিয়েছেন, ধর্ষণের অভিযোগ করা দুইজন খালাতো বোন। তাদের একজনের বয়স ১৩, আরেকজনের ২৪। বড় বোনের সম্প্রতি বিয়েবিচ্ছেদ হয়েছে। ২২ মাসের সন্তান নিয়ে তিনি খালার বাড়ি এসেছিলেন। ছোট মেয়েটি স্কুলছাত্রী।